শুধু তাই নয়,বিধায়কের বাড়ির অদূরে একটি প্রাচীরের ঝোপ থেকে একাধিক তথ্য পাওয়া গিয়েছে। কয়েকটি ব্যাগে করে তথ্য রাখা হয়েছিল। তা উদ্ধার করে CBI। ঠিক কী কারণে এই ব্যাগে নথি রাখা হয়েছিল? তা কি অন্যত্র সরিয়ে দেওয়ার কোনও পরিকল্পনা ছিল? তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
উল্লেখ্য, প্রায় ২৪ ঘণ্টা বিধায়কের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত একাধিক তথ্য উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা, জানা যাচ্ছে এমনটাই।
প্রায় তিন হাজারের বেশি প্রার্থীর তথ্য তাঁর বাড়ি থেকে পাওয়া গিয়েছে বলে সূত্রের খবর। তাঁর দুটি ফোন শুক্রবারবাজেয়াপ্ত করেন গোয়েন্দারা। জানা গিয়েছে, তিনি সেই ফোনগুলি পুকুরে ছুড়ে ফেলে দেন। এর মধ্যে একটি ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। এরপরেই তাঁর বাড়ির পাশের এলাকা ঝোপগুলিতেও তল্লাশি চালাচ্ছেন CBI-এর তদন্তকারীরা।
জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত CBI নজরবন্দি করে রেখেছে তাঁকে। তাঁর বাড়ির পুকুর থেকে জল তোলা হচ্ছে। ফোনের পাশাপাশি পেন ড্রাইভ এবং হার্ড ডিস্কও ওই পুকুরে ফেলা হয়েছে বলে সন্দেহ তদন্তকারীদের। সেক্ষেত্রে সেগুলি উদ্ধার করতে মরীয়া তদন্তকারীরা।
ওই ফোন এবং মেমরি কার্ড-পেন ড্রাইভগুলি থেকে নিয়োগদুর্নীতি সংক্রান্ত নয়াতথ্য উঠে আসতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, তাঁর বাড়ির সামনে একটি আস্তাকুড় রয়েছে। সেই জায়গাটিকেও নজরের আড়ালে রাখতে নারাজ গোয়েন্দারা। জানা গিয়েছে, সেখানেও চালানো হচ্ছে তল্লাশি।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গত বছর গ্রেফতার হয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তনশিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। হুগলি থেকে চলতি বছর গ্রেফতার করা হয় কুন্তল ঘোষকে। জীবন কী ভাবে নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত তা খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা। তাঁর শ্বশুরবাড়িতেও চালানো হচ্ছে তল্লাশি।
উল্লেখ্য, এদিন নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অপর অভিযুক্তগোপাল দলপতির পূর্ব মেদিনীপুরেরবাড়িতেও তল্লাশি চালিয়েছেন গোয়েন্দারা। সেখানে তাঁর মায়ের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় তদন্তকারী আধিকারিকদের।