ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, ২০১৮ সালে যে ভাড়া সরকার নির্ধারণ করেছিল, সেই ভাড়াই নিতে হবে বেসরকারি বাস ও মিনিবাসগুলিকে। কোথাও বেশি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ পেলে পরিবহণ দপ্তরকে পদক্ষেপ করতে হবে সেই বাসের বিরুদ্ধে।
কিন্তু যাত্রীদের বক্তব্য, বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধবে কে? করোনা-পর্বে লকডাউনের পর থেকে বেসরকারি বাসের ইচ্ছেমতো ভাড়া নেওয়া এক রকম স্বতঃসিদ্ধ হয়ে গিয়েছে। বার বার অভিযোগ জানিয়ে কোথাও প্রতিকার না পেয়ে মানুষ বাধ্য হয়ে বেশি ভাড়া দিচ্ছেন। এ বার হাইকোর্টের গত বুধবারের রায় ওয়েবসাইটে আপলোড হওয়ার পর থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে পুরোনো সরকারি ভাড়ার তালিকা প্রতিটি বাসে জনসমক্ষে ঝুলিয়ে রাখার কথাও বলা হয়েছে।
নতুন করে ভাড়া-বৃদ্ধি হবে কিনা, সে বিষয়টি পরিবহণ দপ্তরই বিবেচনা করবে। তবে বাসমালিকদের বক্তব্য, পাঁচ বছর আগে শেষ বার সরকার ভাড়া বাড়িয়েছিল। অথচ এই সময়ের মধ্যে জ্বালানি-সহ অন্যান্য জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে লাফিয়ে। লকডাউনে চরম ক্ষতির মুখেও পড়তে হয়েছে তাঁদের। এই অবস্থায় সরকার ভাড়া না বাড়ালে হাইকোর্টের নির্দেশ কার্যকরী করে গাড়ি চালানোই কঠিন হবে।
লকডাউনের পরে বেসরকারি বাস ও মিনিবাসের যথেচ্ছ ভাড়াবৃদ্ধি নিয়ে জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল হাইকোর্টে। সেই মামলাতেই নির্দিষ্ট ভাবে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে। যা না মানলে আদালত অবমাননার মামলারও সুযোগ রয়েছে। বেসরকারি বাস নিয়ে অভিযোগ জানানোর জন্যে হেল্পলাইন চালু করতেও নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। এখন থেকে প্রতিটি বাসের ভিতরে ও বাইরে হেল্পলাইন নম্বর জানিয়ে পোস্টার দিতে হবে। পরিবহণ দপ্তরের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, এখনও ওই রায় হাতে না পাওয়ায় কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়নি।