স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে নামাজ পরে বাড়ি ফেরার সময় অর্তকিতে সুন্নাত শেখের উপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। ভোজালি এবং গুলি চালানো হয় সুন্নাত শেখকে লক্ষ্য করে। ঘটনায় সুন্নাত সেখকে ডোমকল মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় তাঁর। ঘটনায় জখম হয়েছেন স্থানীয় আরও পাঁচজন।
জাহিদুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। জখমদের মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর,গতকাল রাতে ঘটনার সূত্রপাত। মুরসালীন সেখ, খয়রামারি দাস নামে দুই ব্যক্তি বিলে মাছ ধরতে গিয়েছিল। সেই সময় সামেদ সেখ, মুরসালিন সেখকে চুরি করে মাছ ধরার অপবাদ দেয়। মুরসালিন সেখকে মারধরের অভিযোগ ওঠে সামেদ সেখের বিরুদ্ধে।
এই ঘটনার পর ঝামেলা মিটেও যায়। তারপর আজ সকালে সুন্নাত সেখের পরিবার চাইপাড়া মোড়ে নামাজ পড়তে যায়। তখনই নামাজ পড়ে বেরনোর পর তাঁকে ঘিরে ধরা হয়। ভোজালি দিয়ে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ ওঠে। চালানো হয় গুলি। যদিও এই বিষয়ে অভিযুক্ত সামেদ সেখের পরিবার হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
অভিযুক্ত সামেদ সেখের স্ত্রী আছিয়া বিবি বলেন, “ওরাই আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। আমাদের বাড়ির তিনজন জখম হয়েছে। তারা এখন মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।” ঘটনার পর এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। খবর পেয়ে সাগরপাড়া থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌঁছয়। আটক করা হয়েছে তিনজনকে।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক কারণে একাধিক জায়গায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। তবে এই ঘটনার সঙ্গে রাজনৈতিক কোনও বিষয় নেই বলে জানানো হয়েছে। গুলি চালনার ঘটনায় এলাকার মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। কী করে সাধারণ মানুষের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র এল, সে ব্যাপারেও খোঁজ নিয়ে দেখছে পুলিশ। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।