মৃত মহিলার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বক্সিরহাট থানার অন্তর্গত জোড়াই মোর বালাকুঠি এলাকার বাসিন্দা ফজর আলি মিঞাঁর সঙ্গে বাঁশরাজা এলাকার বাসিন্দা লাভলি খাতুনের প্রায় ১৬ বছর আগে বিয়ে হয়েছিল। পরিবারের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে ওই মহিলাার স্বামী মদ্যপ অবস্থায় তাঁকে মারধর করত। এমনকী শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাঁকে শারীরিক নির্যাতন করত বলেও জানা গিয়েছে।
মৃত মহিলার পরিবারের অভিযোগ, সোমবার সকালে লাভলিকে গাছে বেঁধে মারধর করে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। এমনকী তাঁকে জোর করে বিষ খাইয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে তুফানগঞ্জ মহাকুমা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসে।
হাসপাতালে নিয়ে আসার পর জরুরি ভিত্তিতে ওই মহিলার চিকিৎসা শুরু করেন কর্তব্যরত চিকিৎসকরা। সোমবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই মহিলার মৃত্যু হয়। মহিলার পরিবারের লোকদের কাছে এই খবর পৌঁছনো মাত্রই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে যায। তাদের অভিযোগ, থানা তাঁদের লিখিত অভিযোগ জমা নিতে চায়নি।
এরপরই বাঁশরাজা এলাকায় রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় মেয়ের পরিবারের লোকজন। দীর্ঘক্ষণ অবরোধের ফলে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয় এলাকায়। দীর্ঘ ২ ঘণ্টা ধরে চলে অবরোধ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বক্সিরহাট থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। পরবর্তীত অভিযুক্তকে গ্রেফতারের আশ্বাস ও ঘটনাস্থল থেকে লিখিত অভিযোগ গ্রহণ করার পর অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।
মৃত মহিলার দিদি বাবলি বিবি এই প্রসঙ্গে বলেন, “আমরা বোনের উপর অত্যাচার করা হত। আমি বোনকে খালি টাকা রোজগারের জন্য জোর দেওয়া হত। এমনকী কখনও তাঁকে খেতেও দেওয়া হত না। কল ঠিক করার কথা বলেছিল আমার বোন। সেই কারণে তাঁকে বেঁধে মারধর করা হয়। এমনকী জোরকে আমার বোনকে বিষ খাইয়ে দেওয়া হয়। থানায় যাওয়ার পরও অভিযোগ নেওয়া হয়নি। আসামিকে গ্রেফতার না করা অবধি অবরোধ চলবে।”