সরকারি কর্মচারি পরিষদের সভাপতি দেবাশিস শীল বলেন, “আমরা মুখ্যসচিবকে একটি ই মেল দিয়ে জানিয়েছি যে সরকারের সঙ্গে আলোচনায় যাওয়া সম্ভব নয়। কারণ, মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন।”
কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ-এর পক্ষ থেকে শ্যামল মিত্র বলেন, “সংগ্রামী যৌথ মঞ্চেআমরা শরিক সংগঠন নয়। সুপ্রিম কোর্টের এক মাননীয় বিচারপতি মামলাটি শুনতে অস্বীকার করেছিলেন কারণ সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু কর্মী অতি উৎসাহ প্রকাশ করেছেন। এরপর থেকেই আমরা সতর্কভাবে DA আন্দোলন থেকে নিজেদের সরিয়ে রেখেছি। শুধুমাত্র সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ যখন ধর্মঘট বা কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে আমরা সেই সময় আমাদের সংগঠনের কর্মীদের বলেছি সংগঠনের ব্যানার , পতাকা ছেড়ে ব্যক্তি হিসেবে অংশ নিতে।”
তাঁর আরও সংযোজন, “এটা আমাদের ঘোষিত অবস্থান। কলকাতা হাইকোর্ট মামলাকারীদের আলোচনায় যেতে বলেননি। সেক্ষেত্রে আমাদের আলোচনায় যাওয়া বা না যাওয়ার প্রশ্নই থাকে না আলাদা করে।” অন্যদিকে,ইউনিটি ফোরামেরপক্ষ থেকে দেবপ্রসাদ হালদারও জানান, তাঁরাও রাজ্যের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চান না। সুপ্রিম কোর্ট কী নির্দেশ দেয়, সেই দিকে তাকিয়ে রয়েছেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, এই তিনটি সংগঠনের সরকারের সঙ্গে আলোচনায় না বসার সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে কিংকর অধিকারী বলেন, “আমরা বরাবর সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চেয়েছি। আমরা চেয়েছিলাম মুখ্যমন্ত্রী বা রাজ্যের প্রতিনিধিরা আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসুন এবং আমাদের বক্তব্যের যৌক্তিকতা বিচার করুন। আমাদের কথায় যদি যুক্তি থাকে তা মেনে নিন।”
তিনি আরও বলেন, “এক্ষেত্রে আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে বার্তা দিয়েছে হাইকোর্ট। মামলাকারীদের বিষয়টি আলাদা। সেক্ষেত্রে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ আলোচনায় বসবে।”
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় হারে DA-র দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন করছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। শহিদ মিনারের সামনে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আওতায় অবস্থান বিক্ষোভে বসেছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। পাশাপাশিDAমামলা চলছে সুপ্রিম কোর্টেও।