ফের মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টার ঘিরে আতঙ্ক। তবে এবার জঙ্গল মহলের কোনও জেলা নয় কলকাতার খুব কাছে মাওবাদী নামাঙ্কির পোস্টার উদ্ধার করা হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনার জেলার খড়দা স্টেশন রোড সংলগ্ন এলাকায় এক নম্বর প্ল্যাটফর্ম ও চার নম্বর প্লাটফর্মের দুপাশ থেকে এই পোস্টার উদ্ধার করা হয়েছে। শহরের এত কাছে মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টার উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।Panchayat Election : নাম ঘোষণা হয়নি, এদিকে পোস্টার পড়ল তৃণমূল প্রার্থীর! শোরগোল কাকদ্বীপে
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, খড়দাতে উদ্ধার হওয়া মাওবাদী পোস্টারে লেখা “বাইশে এপ্রিল কমরেড লেলিনের নামে আমাদের শপথ ফ্যাসিবাদকে গুঁড়িয়ে দাও শ্রমিক কৃষক রাজ বানাও, ঘরে ঘরে বেকার বাজারে আগুন ইভিএম ছুড়ে ফেলে এবারে জাগুন. সরকার বদল পন্ডশ্রম বিপ্লবীরাই ওদের যম।” গোটা এলাকা মাওবাদী নামাঙ্কিত এই পোস্টারে ছেয়ে গিয়েছে।

এই পোস্টার ছড়িয়ে পড়তেই এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। তবে কে কারা এই ধরনের পোস্টার এলাকায় লাগালো তা ঠাওর করতে পারছেন না স্থানীয়রা। আর মাওবাদী লেলিনবাদী সংগঠনের নামে পড়া এই পোস্টার নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। তৃণমূলের অভিযোগ, এলাকায় সন্ত্রাস সৃষ্টি ও ভয় দেখানোর জন্যই এই ধরনের পোস্টার লাগানো হচ্ছে। অন্যদিকে গোটা ঘটনায় প্রশাসনের ব্যর্থতাকেই দায়ী করেছে গেরুয়া শিবির। তাঁদের দাবি, প্রশাসন যদি কড়া হাতে দমন না করে তাহলে এই সুযোগে মাওবাদীরা আবার তাদের ডানা বিস্তার করবে।

Paschim Medinipur News : পাখা সঙ্গে আনবেন! তীব্র গরমে সরকারি হাসপাতালে বাইরে পোস্টার ঘিরে শোরগোল
স্থানীয় তৃণমূল নেতা দিব্যেন্দু চৌধুরী এই প্রসঙ্গে বলেন, “খড়দাতে যে পোস্টার নিয়ে এত আলোচনা চলছে সেই প্রসঙ্গে বলতে চাই যে, উন্নয়নর কাজে প্রচুর বেআইনি দোকান ভাঙা পড়বে। বেআইনি দোকান থেকে যাঁরা তোলা আদায় করে, এতে তাঁদের আঁতে ঘা লেগেছে। তাঁরা এই ধরনের পোস্টার লাগিয়ে সেখানে তৈরি হতে চলা ফ্লাইওভারের কাজ বন্ধ করতে চাইছে। তবে এইসব করে কোনও লাভ হবে না। আগামী দুবছরের মধ্যে খড়দায় ওভারব্রিজ হবেই।”

Anubrata Mondal : ‘পাপ বাপকেও ছাড়ে না…’, অনুব্রত নয়া অবতার দেখ মুখ হাঁ বীরভূমবাসীর
বিজেপি নেতা জয় সাহা এই প্রসঙ্গে বলেন, “মাওবাদীদের পোস্টারে কী লেখা রয়েছে সেই নিয়ে ভাবার কোনও দরকার নেই। তবে মাওবাদীরা এই রাজ্যে আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে এটাই ভাবার বিষয়। মাওবাদীরা কোনও রাজ্যেই ইতিবাচক কোনও কাজ করেনি। এই অঞ্চলে মাওবাদী কোথা থেকে এল সেটাই ভাবার বিষয়। প্রশাসনের এই নিয়ে পদক্ষেপ করা উচিত। এখানেও মাওবাদীরা রয়েছে বলে আমরা ভাবতেই পারছি না।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version