তাঁরাই সিবিআইয়ের দুর্নীতিদমন শাখার অফিসারদের খবর দিয়েছিলেন। যদিও এই ঘটনার পিছনে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থারই হাত থাকতে পারে বলে এ দিন আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এ দিন নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে ভাঙড়ের নথি পোড়ানোর বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হয়। তিনি বলেন, “আমার কাছে এ নিয়ে কোনও তথ্য নেই। আমি এই ব্যাপারে শুনিনি।”
এর পরে তাঁর মন্তব্য, “হতেই পারে এটা বিজেপি, সিপিএম বা আইএসএফের খেলা! না জেনে কোনও মিথ্যা কথা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেবো না। তবে এটা সিবিআইয়ের চক্রান্তও হতে পারে। ওরা তো এ রকমই করে। কখনও একটা টাকাও পাওয়া গেল না, অথচ বলে দিল, ৫০০ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে! কখনও দেখেছেন, অমিত শাহের কাছে কত টাকা আছে? বিজেপি নেতাদের কাছে কত টাকা আছে?”
তাঁর সন্দেহ, এটা তৃণমূলকে অপদস্থ করার চক্রান্তও হতে পারে। মুখ্যমন্ত্রীর সংযোজন, “গোরু পাচার মামলায় কেন উত্তরপ্রদেশে যাচ্ছে না সিবিআই? খালি কমন পাবলিক, শিল্পপতি, জাজেদের ডিস্টার্ব করা এদের কাজ।”
রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের কটাক্ষ, “পুলিশের সহযোগিতায় নথি পোড়ানো হয়েছে। কেন রাতভর নথি পুড়তে থাকলেও পুলিশের নজরে এল না? আইন-শৃঙ্খলা রাজ্যের বিষয়।হয় পুলিশের যোগসাজশে নথি পোড়ানো হয়েছে, না-হলে তাদের অজ্ঞাতে হয়েছে। যদি প্রথমটা হয়, তা হলে এটা ষড়যন্ত্র, দ্বিতীয়টা হলে এটা পুলিশের ব্যর্থতা।”
সরকারিভাবে সিবিআই এই নথি নিয়ে কোনও মন্তব্য না-করলেও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের খবর, বিহার ছাড়াও ঝাড়খণ্ড, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া এলাকার কিছু নথি রয়েছে আধপোড়া কাগজপত্রের মধ্যে। সেগুলি ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হতে পারে। যে এলাকা দিয়ে এখানে গাড়ি ভর্তি নথি এসে থাকতে পারে, সেই রুটের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজও সংগ্রহ করা হচ্ছে। কয়েকজন গাড়ির চালকের সঙ্গে একদফায় কথা বলা হয়েছে।