পূর্ব মেদিনীপুর সহ দক্ষিণবঙ্গের আট জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিল আগে থেকেই। অবশেষে আলিপুর আবহাওয়া দফতর এর পূর্বাভাস মত বৃষ্টি নামল বঙ্গে।। দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কমবে তাপমাত্রাও।
গা জ্বালানো গরমে জল ঢালতে আসছে স্বস্তির বৃষ্টি। দক্ষিণবঙ্গের ৮ জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির এমনই পূর্বাভাস জারি করেছিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। শুক্রবার ও শনিবার দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, নদিয়ায় বৃষ্টির সম্ভাবনা ছিল আগে থেকেই। সকাল থেকেই ছিল আকাশের মুখ ভার। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে নামল বৃষ্টি। তবে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে বৃষ্টি হবে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে দহন জ্বালায় জ্বলছে দক্ষিণবঙ্গ। সোমবারের পর মঙ্গলবারও প্যাচপ্যাচে গরমে কাহিল সকলে। কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় পারদ টপকেছে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই অসহনীয় গরম থেকে বাঁচতে সকলেই বৃষ্টির অপেক্ষায় ছিলেন।
আলিপুর হাওয়া অফিস আগেই জানিয়েছিল যে, ২২ এপ্রিল থেকে আবহাওয়ার পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে। সেই সঙ্গে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ধীরে ধীরে কমবে তাপমাত্রা। তবে ২০ শে এপ্রিল পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি বজায় থাকবে। শেষমেশ পূর্বাভাস মিলে গেল। বৃষ্টিতে ভিজল দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলা।
সকাল থেকেই এদিন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার আকাশে মেঘের আনাগোনা লক্ষ্য করা গিয়েছিল। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে গিয়ে পৌঁছয়। সকলেই আশা করে বসেছিলেন, আজকেই হয়তো মিলবে বরুণ দেবের আশীর্বাদ। হল তাই। শুক্রবার বিকেলের দিকে বৃষ্টি নামে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার একাধিক জায়গায়।
বৃষ্টি দেখে আত্মহারা হয়ে ওঠেন জেলার বাসিন্দারা। অনেকেই বাড়ির বাইরে বেরিয়ে এসে এই বৃষ্টি উপভোগ করতে থাকেন। উপভোগ করেন দিঘায় আসা পর্যটকরাও। সপ্তাহের মাঝে যদিও দিঘা উপকূলবর্তী এলাকায় খুব বেশি পর্যটকদের চাপ ছিল না। তবে সমুদ্রের ধারে বৃষ্টির আমেজ এদিন মহানন্দে উপভোগ করেন পর্যটকরাও। দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলাতে শুক্রবার রাত অথবা শনিবার সকালের মধ্যেও বৃষ্টি নামবে বলে মনে করা হচ্ছে।