কিন্তু, আদৌ ২৪ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টে DA মামলার শুনানি হবে কিনা তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। জানা গিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালা অসুস্থ। এদিকে বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী এবং জে বি পারদিওয়ালার বেঞ্চে আগামী ২৪ তারিখ DA মামলা ওঠার সম্ভাবনা ছিল। সেক্ষেত্রে বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালা অসুস্থ হওয়ার পর কি আদৌ সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানি ২৪ তারিখ হবে? তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
অন্যদিকে, হতাশার সুর সরকারি কর্মচারি পরিষদের সভাপতি দেবাশিস শীলের কণ্ঠে। তিনি বলেন, “আমরা সকলেই সুপ্রিম কোর্টের দিকে চেয়ে রয়েছি। গত বছর ২৮ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার বিস্তারিত শুনানি হয়। রাজ্য এবং কর্মী সংগঠন উভয়েই শর্ট নোট জমা দিয়েছিল আদালতের নির্দেশ মোতাবেক। এরপর ছয়টি তারিখ পার হয়ে গিয়েছে। ক্রমশই সরকারি কর্মীদের মধ্যে হতাশা বাড়ছে। কিন্তু, আমরা হাল ছাড়ছি না। আইনি লড়াই আমরা চালিয়ে যাব।”
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় হারে DA-র দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই আইনি লড়াই লড়ছিলেন সরকারি কর্মচারিরা। স্যাটের পর এই মামলা কলকাতা হাইকোর্টে ওঠে। গত বছর ২০ মে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে জয় হয় সরকারি কর্মীদের। তিন মাসের মধ্যে রাজ্যকে বকেয়া DA মেটানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। যদিও এই রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে ফের হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। কিন্তু, গত বছর ২২ সেপ্টেম্বর সেই পুনর্বিবেচনার আর্জিও খারিজ করে দেয় ডিভিশন বেঞ্চ।
এরপরেই মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে সুপ্রিম কোর্টের অপর বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত DA মামলা থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন আগেই। তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর বেঞ্চে এই মামলা যাওয়ার খবরে কিছু সরকারি কর্মীদের মধ্যে অতি উৎসাহ দেখা গিয়েছে। সেই বিষয়টিকে সামনে রেখেই তিনি DA মামলা থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন।
DA Demand: ডিএ-ধরনা তুলতে চায় সেনা, রাজনাথ-মমতার সমীকরণ?
প্রসঙ্গত, শুক্রবার কেন্দ্রীয় হারে DA-র দাবিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠকে বসে নবান্ন। যদিও সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের থেকে স্পষ্ট জানানো হয়, এই আলোচনা একেবারেই ফলপ্রসূ হয়নি।