ঘটনার পরই এলাকা ছেড়ে গা ঢাকা দেয় অভিযুক্তরা। তাদের ধরতে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যে পাঁচ অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে বলে খবর। রঘুনাথগঞ্জ থানার এক পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, সংঘর্ষে জড়িত সন্দেহে পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। এলাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকার নিয়ন্ত্রণ ও ক্ষমতা দখলকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গণ্ডগোল দীর্ঘদিনের। শুক্রবার বিকেলে খেজুরতলা ফেরিঘাটে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতিকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।অভিযোগের তির প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি মতিউর রহমান ঘনিষ্ঠদের দিকে।
রড দিয়ে বর্তমান অঞ্চল সভাপতির পায়ে আঘাত করা হয় বলে অভিযোগ। স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে। ওই রাতেই তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এদিন সকালে ফের এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। একে অপরের বিরুদ্ধে ইট ও লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। ইটের ঘায়ে এক পক্ষের চার যুবক জখম হন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জখমদের উদ্ধার করে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করেন। অপরপক্ষের বেশ কয়েকটি বাড়িও ভাঙচুর করা হয় বলে পালটা অভিযোগ করা হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে রঘুনাথগঞ্জ থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। তারপরই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
তৃণমূলের সেকেন্দ্রা অঞ্চলের নতুন সভাপতি নাম ঘোষণার পর থেকেই নতুন ও পুরনোপন্থীদের মধ্যে গণ্ডগোলের সূত্রপাত। বর্তমান অঞ্চল সভাপতি মোতাহার হোসেন বলেন, “ওঁরা দলের নির্দেশ মানছেনা। আমাদের লোকজনকেই হুমকি দিচ্ছে ও মারধর করছে। আমি তা নিয়ে বলতে গেলে ওরা আমার উপর আক্রমণ করে।”
অন্যদিকে, প্রাক্তন সভাপতি মতিউর রহমান বলেন, “বর্তমান সভাপতিকে আমরা মানিনা। তা উপর মহলকে জানিয়েছি। আমরা দলের নীতি আদর্শ মেনেই চলব তবে সভাপতির নির্দেশ মানব না।” তাঁর অভিযোগ, বর্তমান সভাপতি দলবল নিয়ে আমাদের লোকজন কে মারধর করেছে, বাড়িঘর ভাঙচুর করেছে। এসব আমরা বরদাস্ত করব না।