কোচবিহারের মাটিতে পা রেখেই এদিন মদনমোহন মন্দিরে পুজো দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘ সংযোগ যাত্রার সূচনা লগ্নে এদিন অভিষেকের দাবি, ” আমাদের দলে অনেকেই আছেন, যাঁরা দুর্নীতিমুক্ত, সন্ত্রাসহীন, রক্তপাতহীন পঞ্চায়েত নির্বাচন চায়, আমিও সেটা চাই।” তাঁর যুক্তি, সবার আগে উচিত সঠিক প্রার্থী নির্বাচিত করা। সঠিক প্রার্থী নির্বাচিত না হলে কোনওভাবেই, কেউ কোনওদিন স্বচ্ছ পঞ্চায়েত গড়ে তুলতে পারবে না।
তবে কোচবিহার থেকেই কেন ?.অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন জানান, অনেকেই ‘উত্তরবঙ্গ ‘ বলে একটা শব্দবন্ধ ব্যবহার করেন অভিষেকের কথায়, ” আমি এক শব্দটার ঘোর বিরোধী। আমি মনে করি, উত্তরবঙ্গ, গৌড়বঙ্গ, দক্ষিণবঙ্গ, রাঢ়বঙ্গ বলে কিছু নেই। বাংলা হল একটাই, সেটা পশ্চিমবঙ্গ।” উত্তরবঙ্গের প্রত্যেকটি ওয়ার্ড, অঞ্চল, গ্রাম বাংলার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ বলে জানান তিনি।
সূচি অনুযায়ী, ২৫ এপ্রিল বিএসএফের গুলিতে নিহত পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর মধাইখাল কালি বাড়ি মন্দির দর্শন করবেন তিনি। এরপর সকাল সাড়ে দশটায় তাঁর জনসভা রয়েছে। সাহেবগঞ্জ ফুটবল মাঠে জনসভা করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর সিতাই গোঁসাইমারি হাই স্কুলে সভা রয়েছে তাঁর। দুপুর আড়াইটা নাগাদ শীতলকুচি মাঠে জনসভা রয়েছে তাঁর।
পঞ্চায়েত ভোটের আগেই গোপন ভোট নেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে তৃণমূল শিবির থেকে। গোপন ব্যালটে পছন্দের জনপ্রতিনিধির নাম জানাতে পারবেন সাধারণ মানুষ, সেই ভোটের ফলাফল চলে যাবে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে। সেখান থেকে বাছাই করে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী নির্ধারণ করবে তৃণমূল কংগ্রেস। এমনটাই জানিয়েছেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড। দুই মাস ধরে সেই কর্মকাণ্ড করতে আজ, সোমবার থেকে সফর শুরু করেছেন তিনি।
পাশাপাশি, সংযোগ যাত্রা হিসাবে মানুষের সঙ্গে জন সংযোগ গড়ে তোলার কাজও করতে চলেছেন তিনি। মানুষের দুয়ারে গিয়ে তাঁদের অভাব, অভিযোগ সোনার কথা রয়েছে তাঁর। সেই কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে সংযোগ যাত্রা। যাঁর মাধ্যমে সরাসরি গ্রামীণ প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের মন বুঝে নিতে চাইছেন অভিষেক, বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলে।