তাই এই মুহূর্তে মাকালু অভিযানের দিকে না গিয়ে বাড়ি ফিরে বাবার পাশে থাকাই শ্রেয় মনে করলেন পিয়ালি বসাক। ২০১৮ সালে পৃথিবীর অষ্টম উচ্চতম শৃঙ্গ মানাসুলু জয় করেন পিয়ালি। তারপর ২০২১ সালে সপ্তম উচ্চতম শৃঙ্গ ধৌলগিরি জয় করেন। ২০২২ সালে পৃথিবীর সর্বোচ্চ এভারেস্টে ওঠেন পিয়ালি।
তার দু’দিন পরেই পৃথিবীর চতুর্থ উচ্চতম শৃঙ্গ লোৎসে জয় করেন। এবার লক্ষ্য ছিল অন্নপূর্ণা আর মাকালু। কিন্তু বাবার অসুস্থতার খবরে বাড়ি ফিরে আসেন পিয়ালি।
তিনি জানান, “অন্নপূর্ণা এতটাই দুর্গম যে জল বা খাবার খাওয়াও হয়নি। প্রচণ্ড ঠাণ্ডার মধ্যে বসে থাকতে হয়েছিল সারা রাত। বিনা অক্সিজেনে যাওয়ার ফলে শরীর খারাপ হয়ে যায়, জ্বর, নাক ও গলায় ব্যথা হয়। পরের দিন ফের সামিট করার জন্য বেরোতে হয়। ৮:১৫ নাগাদ অন্নপূর্ণার চূড়ায় পৌঁছাই।”
পিয়ালি আরও বলেন, “সেখানে চূড়ায় পৌঁছে এমার্জেন্সি ব্যাকআপ অক্সিজেন নিতে হয়। অন্নপূর্ণা শৃঙ্গ জয় করতে অনেকটা কঠিন হয়ে পড়েছিল কারণ ওখানে নীল বরফে ঢাকা ছিল। তার উপর দিয়ে যেতে হচ্ছিল। এতটাই কঠিন বরফ ছিল যে জুতোয় লাগানো লোহার কাঁটা সেখানে কোনোভাবেই দাঁড়াচ্ছিল না। কোনও জায়গায় আবার এক দিকে ফাটল অপরদিকে খাদ, মাঝখানে সরু রাস্তার মধ্যে দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছিল। যেখানে জীবনের ঝুঁকি রয়েছে, সেখানে পরিকল্পনার অভাবের জন্যই আমার বিনা অক্সিজেনে শৃঙ্গ জয় করা হাতছাড়া হল।”
এর সঙ্গেই পিয়ালি যোগ করেন, “এরপর আবার মাকালু অভিযানে যেতে হবে। এবার আর এটা হল না। সেখানে প্রায় ১৬ লাখ টাকা খরচা রয়েছে। তার জন্য এখনও পুরো টাকা জোগাড় হয়নি। রাজ্য ও কেন্দ্র সরকার এগিয়ে এলে সুবিধা হয়।”
উল্লেখ্য, পিয়ালির বাবা তপন বসাক স্নায়ু রোগে আক্রান্ত। দীর্ঘদিন ধরে বাড়িতেই শয্যাশায়ী তিনি।