West Bengal News : উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় ফের রাস্তায় নামলেন গাছ প্রেমীরা। এবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের বিরোধিতা করে। রেলের ওভারব্রিজ করবার জন্য ৩৫৬ টি গাছ কেটে ফেলার সেই নির্দেশের বিরোধিতা করে গাছ প্রেমীরা পথে নেমেছেন যশোর রোডের প্রত্যেকটা গাছকে হেরিটেজ ঘোষণা করতে হবে এই দাবিতে।

চিকিৎসক থেকে সাহিত্যিক সাংবাদিক প্রত্যেকেই যশোর রোডের গাছ বাঁচাও আন্দোলনে পা মিলিয়েছিলেন ২০১৭ সালে। আর সেই আন্দোলনের ফলে ৫ থেকে ৬ বছর ধরে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের কেটে ফেলতে চাওয়া অনেক গাছ বেঁচে রয়েছে। আদালতের নানান আদেশ নির্দেশ স্থগিতাদেশ সমস্ত কিছুর পর আজ ফের একবার এই গাছগুলোর মরণাপন্ন অবস্থা।

Agriculture In West Bengal: গরমে ক্ষতি গ্রীষ্মকালীন ফসলের, কী করবেন? জানুন এক ক্লিকেই
শতাধিক বর্ষ প্রাচীন এই যশোর রোডের গাছগুলোকে বাঁচিয়ে তোলার জন্য তাই ফের একবার পথে নামলেন বৃক্ষ প্রেমীরা। একই সঙ্গে গাছ প্রেমীদের নানা সময়ে হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যই আজ উত্তর ২৪ পরগনা জেলা শাসকের কাছে ডেপুটেশন জমা দেন বৃক্ষ প্রেমীরা।

বারাসত স্টেশন থেকে আজ যশোর রোড গাছ বাঁচাও কমিটির মিছিল শুরু করে তারপর সেই মিছিল কে কে মিত্র রোড, চাপাডালি মোড় টেলিফোন এক্সচেঞ্জ মোড় হয়ে জেলা শাসকের দফতরের সামনে এসে বিক্ষোভ দেখান। তারপর জেলা শাসকের কাছে ডেপুটেশন জমা দেন।

Uttar 24 Pargana : তেল মাখানো কলা গাছে উঠতে পারলেই কড়কড়ে ৫০০ টাকার নোট! সেই খেলা আজও
বৃক্ষ প্রেমী অর্পিতা সাহার দাবি, “যশোর রোডের গাছ না কেটে তাকে হেরিটেজ ঘোষণা করে যশোর রোড চওড়ার বিকল্প ব্যবস্থা করা হোক।” বৃক্ষ প্রেমী আন্দোলনকারী অনির্বাণ দাস জানিয়েছেন, “কয়েকদিন আগের গরমে প্রায় ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা উঠে গিয়েছিল। তারপরও এই গাছগুলো যদি কেটে ফেলা হয় সেক্ষেত্রে তাপমাত্রা আরও মারাত্মক আকার নেবে।তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ও পরিবেশকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য এই গাছগুলোকে সংরক্ষণ করা দরকার।”

Bankura Weather : তীব্র তাপপ্রবাহ কোপ কৃষ্ণচূড়া গাছেও! লাল ফুল দেখতে না পেয়ে মন খারাপ শহরবাসীর
এক বৃক্ষ প্রেমী জানান, “বছর বছর ধরে পরিবেশ কিভাবে বদল হচ্ছে তা সবাই দেখছেন। মানুষ আর তাপপ্রবাহ সহ্য করতে পারছে না। দিন দিন তাপপ্রবাহ বাড়ছে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে এরা দিনের পর দিন গাছ কেটে যাচ্ছে। গাছ কাটার ফলেই পরিবেশ আরও গরম হচ্ছে। এবার আমরা আর মেনে নেব না। রুখে দাঁড়াবো।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version