গ্রামবাসীদের তরফে দাবি করা হয়েছে, ওই গ্রামের শেখ সিরাজুলের বাড়িতে থাকা নগদ ৯৭ হাজার টাকা, তিন ভরি গয়না, শেখ আখতারের বাড়ি থেকে গয়না ও নগদ ২ হাজার টাকা, রকিব খাঁয়ের এক বস্তা কাঁসার বাসন ও নগদ ৩ হাজার টাকা সহ বেশ কিছু রুপোর গয়না চোরের দল নিয়ে গিয়েছে।
এই বিষয়ে গ্রামবাসী শেখ সিরাজুল বলেন, “আমি বাড়িতে ছিলাম না। আর সেই সুযোগটাকেই কাজে লাগিয়েছে চোরের দল।” আর এক গ্রামবাসী শাহানা বিবি বলেন, “গত রাতে বাড়িতে ছিলাম না, বাপের বাড়িতে জলসায় উপস্থিত ছিলাম। এখন সব কিছু চুরি হয়ে গিয়েছে।”
বর্তমান পরিস্থিতিতে কিভাবে দিন যাপন করবেন ভেবে পাচ্ছেন না বলে তিনি জানান। আরও এক গ্রামবাসী শেখ বাপি বলেন, “এখানকার অধিকাংশ মানুষ অন্যান্য রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করেন। তাই বাড়িতে শুধু মাত্র বয়স্ক মা বা, বা স্ত্রী সন্তানরাই থাকে।”
তাই এই দুঃসাহসিক চুরির ঘটনায় তারা প্রত্যেকেই আতঙ্কিত বলে তিনি জানান। শেখ বাপি আরও বলেন, “আমাদের গ্রামে এরকম ভাবে আজ পর্যন্ত কোনও চুরি বা ডাকাতির ঘটনা ঘটেনি। গ্রামের অনেক বয়স্ক মানুষরাও তাঁদের সময়ে কোনও চুরির কথা মনে করতে পারছেন না। তাই এই প্রথমবার এরকম হওয়াতে সবার মনেই এক চাপা আতঙ্ক চেপে বসেছে। পুলিশের কাছে উপযুক্ত নিরাপত্তা দাবি করছেন সবাই।”
পরে খবর পেয়ে গ্রামে পৌঁছেছে তালডাংরা থানার পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে গ্রামে এক ব্যক্তির বাড়িতে থাকা CCTV-র ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একই সঙ্গে ঘটনার তদন্ত চলছে বলে জানানো হয়েছে।
যদিও শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত এই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে পুলিশ কাউকে আটক বা গ্রেফতার করতে পারেনি বলে জানা গিয়েছে। কয়েকমাস আগে বাঁকুড়া জেলারই সোনামুখী এলাকায় একই পাড়ার মধ্যে ৩ টি বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটেছিল। সেই ঘটনার কিনারা আজও করতে পারেনি পুলিশ।