আমতা বিধানসভার জয়পুরে ‘সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দাও’ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের এইসব সদস্যরা রবিবার সকাল থেকেই মাটির হাঁড়ি এবং ঝুড়িতে কৃত্রিম বাসা তৈরি করা থেকে সেগুলিকে গাছে উঠে বাঁধা সবটাই হাতে হাতে লাগিয়ে করলেন। এদিন কলেজ পড়ুয়ারা জয়পুরের বিনলা, কুন্দলিয়া, অমরাগোড়ী এলাকার প্রায় ৬৫টি গাছে কৃত্রিম বাসা বেঁধে দেন।
পাশাপাশি গরমের হাত থেকে পাখিদের বাঁচাতে গ্রামের ৫০ জন মানুষের হাতে মাটির পাত্র তুলে দিল তারা। এই উদ্যোগ সম্পর্কে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্তা সৌরভ মণ্ডল জানান “প্রাকৃতিক দূর্যোগে পাখিদের বাসা ভেঙে যাওয়ায় তারা আশ্রয়হীন হয়ে পড়ে। আর আশ্রয়হীন এইসব পাখিদের কথা চিন্তা করে আমরা এই বাসা বানানোর উদ্যোগ নিয়েছি। পাশাপাশি গরমে তৃষ্ণার্ত পাখিদের জল খাওয়ানোর পাশাপাশি তাদের স্নান করার জন্য মাটির পাত্র মানুষের হাতে তুলে দিয়েছি। আমরা মানুষের কাছে মাটির পাত্রগুলিতে সবসময় জল রাখার আবেদন করেছি। যাতে গ্রীস্মের সময় পাখিরা পাত্র থেকে জল খেতে পারে আবার প্রয়োজনে স্নান ও করতে পারে।”
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্তাদের মতে, গরম কালে পাখিদের পক্ষে নতুন বাসা বানানো খুব কষ্টকর। ঝড়ে পুরনো বাসা নষ্ট হয়ে গেলে ওরা নতুন বাসা বানাতে হিমসিম খায়। নিজের বাগানে বা বারান্দার কোণে পাখির জন্য ছোট বাসা বানিয়ে দিতে পারেন আপনি।
অনলাইনেও এই ধরনের বাসা কিনতে পাওয়া যায়। সেগুলি কিনেও ঝুলিয়ে রাখতে পারেন এসব জায়গায়। শুধু গ্রীষ্ম বলে নয়, সার্বিক ভাবে পাখিদের সাহায্য করার জন্য বাড়িতে দূষণের মাত্রা কমাতে পারেন। বেশি ধোঁয়া তৈরি করবেন না।
পাখিরা খেতে পারে এরকম কিছু শস্যদানা ছড়িয়ে রাখতে পারেন। গম, ডাল জাতীয় শস্যদানা পাখিরা খায়। এছাড়াও পাখির দোকান থেকে খাবার কিনতে পারেন। এছাড়াও তাঁরা বলেন, বাড়ির ছাদে বা বারান্দায় একটি পাত্রে পরিষ্কার জল রেখে দিন। বেশি কানা উঁচু পাত্র না হলেই ভাল। এমন পাত্রে জল দেবেন, যার কানায় বসে পাখি জলপান করতে পারে।