স্ত্রীর উপর গোঁসা হয়েছিল স্বামীর। বউ ঝগড়া করে বাপের বাড়ি চলে যাওয়ার চরম প্রতিশোধ নিতে ফন্দি এঁটেছিলেন ওই ব্যক্তি। পরপুরুষের হাত ধরে ঘর ছেড়েছে বউ, এই মর্মে থানা ভুয়ো অভিযোগও দায়ের করেন ওই ব্যক্তি। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নায়। এদিকে পুরো ঘটনা জেনে চক্ষু চড়কগাছ পুলিশের। থানার মধ্যেই স্বামীর স্ত্রীর তুমুল ঝগড়া। শেষমেশ নিজেদের মধ্যে সব মিটমাট করে তাঁদের দিঘা ঘুরে আসার পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ।

Bankura News : অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী-স্বামীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার বাঁকুড়ায়, বাড়ছে রহস্য
জানা গিয়েছে, ওই বধূর শ্বশুরবাড়ি ময়না থানার পূর্ব দোবান্ধি পাটনায়। তাঁর স্বামী সম্প্রতি ময়না থানার দ্বারস্থ হন। লিখিত অভিযোগ দায়ের করে তিনি দাবি করেন, পরপুরুষের হাত ধরে ঘর ছেড়েছে স্ত্রী। এদিকে অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে পুলিশও। বধূকে ফোন করা হয় ময়না থানার তরফে। এদিকে পুলিশের ফোন পেয়ে কার্যত অবাক হয়ে যান ওই বধূ। তিনি পুলিশকে জানান, স্বামীকে জানিয়েই বাপের বাড়িতে এসেছেন তিনি।

এরপর গত শুক্রবার স্বামী এবং স্ত্রীকে পুলিশ স্টেশনে ডাকা হয়। বধূর স্বামী দাবি করেন, তাঁর স্ত্রী সব সময় ফোনে ব্যস্ত থাকেন। তাঁদের দুই সন্তান রয়েছে। কিন্তু, স্ত্রী সংসারের কাজে মন না দিয়ে ফোন ঘাঁটেন সবসময়। পরপুরুষে আসক্ত স্ত্রী এমনটাও দাবি করেন ওই ব্যক্তি।

Murshidabad News : ৩০ ঘণ্টার লড়াই শেষ, মৃত্যু হল তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীর
অন্যদিকে, বধূর দাবি তাঁর স্বামী শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন করত। তিনি শ্বশুরবাড়িতে জানিয়েই বাপের বাড়ি গিয়েছিলেন। তারপরেও তার নামে ভুয়ো অভিযোগ থানায় দায়ের করেছে স্বামী, অভিযোগ তোলেন তিনি।

স্বামী-স্ত্রীর বাদানুবাদে রীতিমতো তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা থানা। শেষমেশ তাঁদের থামাতে এগিয়ে আসেন পুলিশকর্মীরা। জানা গিয়েছে, বুঝিয়ে সুঝিয়ে দু’জনকেই প্রথমে শান্ত করা হয়। তদন্তকারীরা জানতে পারেন, স্ত্রীকে ‘টাইট দিতেই’ ফন্দি এঁটেছিলেন ওই ব্যক্তি। মিথ্যা অভিযোগও দায়ের করেছিলেন তিনি।

Bangladesh News : কৃত্তিম যৌনাঙ্গ ব্যবহার করে কাকিমাকে ‘আদর’! তরুণীর কাণ্ডে হতবাক পরিবার
এই নিয়ে তাঁকে ভর্ৎসনাও করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, কথাবার্তার মাধ্যমে এই ঘরঝগড়া সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে পুলিশ। বধূকে শ্বশুরবাড়ি পাঠানোর জন্য রাজিও করা হয়। শুধু তই নয়, ওই যুগলকে মন এবং সম্পর্ক চাঙ্গা করার জন্য দিঘা যাওয়ার পরামর্শ দেন পুলিশকর্মীরা।

এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ময়না থানার আইসি কৃষ্ণেন্দু প্রধান জানান, বধূ কোথাও পালিয়ে যাননি। তিনি বাপের বাড়িতেই ছিলেন। তাঁরা যাতে অশান্তি না করে সুখে শান্তিতে ঘর সংসার করেন সেই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version