বাবুঘাট, হুগলির পর এবার মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জে শুরু হচ্ছে কাশীর আদলে গঙ্গা আরতি। রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের শাখা সংগঠন ধর্ম জাগরণের উদ্যোগে গঙ্গা আরতির ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জঙ্গিপুর পুরসভার রঘুনাথগঞ্জ শহরের সদর ঘাটে হনুমান মন্দিরের সামনে আগামী ৫ মে বুদ্ধ পূর্ণিমার দিন শুরু হচ্ছে গঙ্গা আরতি। এখন সপ্তাহে দুদিন রবিবার ও বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটায় আরতির আয়োজন করা হয়েছে।জানা গিয়েছে, কাশীর আদলে আরতি হনুমান মন্দিরের সামনে বাঁধানো ঘাটে লোহার কাঠামো দিয়ে তিনটি অস্থায়ী বেদী তৈরি করা হচ্ছে। তিনজন পুরোহিত প্রতিদিন দেড় ঘণ্টা গঙ্গা আরতি করবেন। ধর্ম জাগরণের শাখা প্রমুখ কিংশুক সরকার বলেন, ”আপাতত সপ্তাহে দুদিন আরতির ব্যবস্থা থাকছে। রঘুনাথগঞ্জের মানুষ চাইলে প্রতিদিন আরতির আয়োজন করা হবে।” কিংশুকবাবুর দাবি, ”মানুষের যা আগ্রহ তাতে সদর ঘাটে সবার জায়গা দিতে পারব কিনা সন্দেহ রয়েছে।”

Ferry Service: অতিরিক্ত ভাড়ার জোর জুলুম, স্থানীয়দের চাপে বন্ধ রঘুনাথগঞ্জের খেয়া

কাশীধামে গঙ্গা আরতি দেখতে দেশ বিদেশের মানুষ ভিড় করেন। কাশীর আদলে গঙ্গা আরতির উদ্যোগ নিয়ে বহরমপুর পুরসভা এখনও শুরু করতে পারেনি। জেলা সদর শহর বহরমপুরকে টেক্কা দিয়ে এবার গঙ্গা আরতি শুরু করতে চলেছে রঘুনাথগঞ্জের ধর্ম জাগরণ সংগঠন। বেশ কিছুদিন থেকেই তার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে লোহার কাঠামো দিয়ে তৈরি বেদিও তৈরি হয়ে গিয়েছে। জোড় কদমে শুরু হয়েছে প্রস্তুতি পর্ব। প্রশাসনের অনুমতি চেয়ে সোমবার সন্ধ্যায় রঘুনাথগঞ্জ থানায় আবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, প্রশাসন এখনও পর্যন্ত যথেষ্ট সহযোগিতা করছে।

Murshidabad News : ‘পবিত্র পানি’! মুর্শিদাবাদে ৬ মাসের শিশুকে ব্রিজ থেকে গঙ্গার জলে ফেলল মা

আপাতত প্রতি সপ্তাহের রবিবার ও বৃহস্পতিবার হবে আরতি। সন্ধ্যা সাতটায় নির্দিষ্ট সময়ে তিনজন পুরোহিত আরতি করবে আলাদা আলাদা বেদী থেকে। স্থানীয় বিজেপি নেতা তথা জঙ্গিপুর হাই স্কুলের শিক্ষক নিতাইপদ সরকার বলেন, প্রদীপের ওজন খুব বেশী। পুরোহিতদের অভ্যস্ত হতে সময় লাগবে। প্রথম দিন থেকেই দেড় ঘণ্টা ধরে আরতি সম্ভব নয়। তবে আমারা ঠিক করেছি পুরোহিতরা অভ্যস্ত হয়ে গেলেই দেড় ঘণ্টা চলবে আরতি।

Dilip Ghosh : ‘দলটাই এখন লোকাল…’, হুগলি থেকে তৃণমূলকে আক্রমণ দিলীপের

সদর ঘাটের ঠিক উলটো দিকে ভাগীরথীর পূর্ব পাড়ে রয়েছে জঙ্গিপুর শহর। কিংশুক প্রামাণিক বলেন, ”আরতি এমন জায়গায় করা হচ্ছে যাতে গঙ্গা অপর পাড়ের দর্শকও দেখতে পাবেন। এই অংশের গঙ্গার পরিসর খুবই কম ফলে জঙ্গিপুর থেকে স্পষ্ট দেখা যাবে।” গঙ্গা আরতির খবর ছড়িয়ে পড়তেই প্রবল উৎসাহে ভাসছেন রঘুনাথগঞ্জের বাসিন্দা। স্থানীয় বাসিন্দা বিথীকা মণ্ডল বলেন, ”সদর ঘাট থেকে আমাদের বাড়ির দূরত্ব খুব কম। ঘরের কাছে কাশীর মতো গঙ্গা আরতি দেখার সৌভাগ্য হবে ভাবতেই রোমাঞ্চ লাগছে। ”৫ মে বুদ্ধ পূর্ণিমার অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন রঘুনাথগঞ্জ জঙ্গিপুরের বাসন্দারা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version