মন্ত্রীর থানায় অভিযোগ দায়েরের পরই বুধবার আরও বিস্ফোরক দাবি করেন দেবের ভাই। তিনি জানিয়েছেন, চরম আতঙ্কে দিন কাটাতে হচ্ছে তাঁকে। সত্যি কথা বলার দায়ে ঘরছাড়া হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিক্রম অধিকারী। তাঁর দাবি, পথে-ঘাটে গুলি করে খুন করা হতে পারে তাঁকে। এমনকী এই পরিস্থিতিতে তিন পুলিশের দ্বারস্থ হতে পারছেন না বলেও জানিয়েছেন বিক্রম। পুলিশে জানালে বাড়তে পারে সমস্যা! এই ভয়ে কার্যত গৃহবন্দী অভিনেতা সাংসদের ভাই ও তাঁর পরিবার। দেবের ভাইয়ের চাঞ্চল্যকর দাবি ঘিরে ফের শোরগোল কেশপুরের মহিষদা গ্রামে।
বিক্রম বলেন, ‘আমি মন্ত্রীর কাছে আগেই বলেছিলাম, কিন্তু উনি কোনও প্রতিবাদ করেননি। তিনি বলেছেন যে আমার মানসিক সমস্যা রয়েছে। আমার না তাঁর মানসিক সমস্যা রয়েছে সেটা খতিয়ে দেখা উচিৎ। সত্যি কথা বলেছি বলেই আমার নামে থানায় অভিযোহ দায়ের করা হয়েছে। মিথ্যে কথা বললে এরটা আর হত না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি খুব ভয় ও আতঙ্কে রয়েছি। রাস্তাঘাটে বেরলে বা কোথাও গেলে গুলি চালিয়ে দিতে পারে। আমার ছেলে মেয়েদের নিয়েও চিন্তায় রয়েছি। যে কোনও মুহূর্তে প্রাণহানির সম্ভাবনা রয়েছে। এমনকী আমাকে পরিবার সমেত ঘরছাড়াও করা হতে পারে। এলাকার লোকেরা সত্যি কথা বলেছি বলে আমাকে বকাবকি করছে। তাঁদের আশঙ্কা আমাকে এলাকায় টিকতে দেওয়া হবে না। সাধারণ মানুষের অবস্থা আরও খারাপ। ভয়ে ভয়ে ঘর থেকে বেরতে হচ্ছে। পুলিশকে জানিয়ে রাখলে ঠিক হয়। তবে সেখানে আশঙ্কা রয়েছে। কেশপুর আবার পুরনো সন্ত্রাসের পরিস্থিতি রয়েছে।’
এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা অরূপ দাস বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে এই কথা আমরাও বলে আসছিলাম। কেশপুরে ব্যাপক পরিমাণে দুর্নীতি হয়েছে। কাটমানি ও তোলাবাজির সঙ্গে মন্ত্রী শিউলি সাহাও যুক্ত। একই কথা দেবের ভাইও বলেছেন। সেই কারণে তিনি দেবের ভাইয়ের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন। কিন্তু দেবের ভাই ভুল বলছেন এটা বলার সাহস মন্ত্রীর নেই। দেবের ভাই এই কথা বলার প্রাণহানির ভয় পাচ্ছেন। সত্যি কথা বললেও তৃণমূলের দলীয় কর্মীরাও রেহাই পায় না সেই কথা আজ প্রমাণিত হল।”