কৃষ্ণনগরের শক্তিনগর হাসপাতাল থেকে শুরু করে নেদেরপাড়া পর্যন্ত রাতে ওষুধের কোনও দোকান প্রায় খোলা থাকেনা বললেই চলে। সেই কারণে গুরুতর সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় রোগী ও তাঁদের পরিবারকে। সেই সমস্যার সমাধানে কৃষ্ণনগর পুরসভার তরফে এলাকায় একটি দিবারাত্র ওষুধের দোকান খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, সেই ওষুধের দোকান ২৪x৭ খোলা থাকবে বলেই জানা গিয়েছে। সেখানে যাবতীয় জীবনদায়ী ওষুধ মিলবে বলে জানা গিয়েছে।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ওষুধের দোকান থেকে স্বল্পমূল্যে ওষুধ কিনতে পারবেন সাধারণ মানুষ। সেই কারণে রাতের বেলা কারও ওষুধের প্রয়োজন হলে, সেই সমস্যাও মিটবে বলে মনে করা হচ্ছে। কৃষ্ণনগর পুরসভা সূত্রে খবর, শহরের নামী চিকিৎসকদের নিয়ে সেখানে একটি ক্লিনিকও খোলা হবে। সেখানে সহজেই চিকিৎসা করাতে পারবেন পুর এলাকার বাসিন্দারা। খুব স্বল্প ফি-তে চিকিৎসকরা রোগী দেখবেন বলে জানা গিয়েছে।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই বোর্ড মিটিংয়ে এই প্রস্তাব পাশ হয়েছে। এলাকার সাধারণ মানুষ মনে করছেন, এর ফলে অনেকেরই সমস্যার সমাধান হবে। রাতের বেলা ওষুধের প্রয়োজন হলে, সহজেই তা পাওয়া যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এই প্রসঙ্গে কৃষ্ণনগর পুরসভার চেয়ারম্যান রীতা দাস বলেন, “২৬ মে নজরুল জয়ন্তীর স্বল্পমূল্যের ওষুদের দোকান ও ওপিডি ক্লিনিকের উদ্বোধন হবে। খুবই কমদামে আমার সাধারণ মানুষকে ওষুধ দেব, কারণ কোনও লাভজনক উদ্দেশ্যে নিয়ে এই দোকান খোলা হচ্ছে না। কৃষ্ণনগর শহরে দিবারাত্র খোলা থাকে এমন কোনও ওষুধের দোকান নেই।”
তিনি আরও বলেন, “একই দিনে ওপিডি ক্লিনিকের উদ্বোধনও হবে চৌধুরীপাড়া এলাকায়। সেখানে বিকেল ৫টা থেকে রাত ১০টা অবধি শহরের স্বনামধন্য চিকিৎসকরা বসবেন। ২০০ টাকা ফি নেওয়া হবে। ১৭৫ টাকা চিকিৎসক নেবে বাকি ২৫ টাকা পুরসভার উন্নয়নের জন্য নেওয়া হবে। এই ব্যবস্থা চালু এলে এলাকার সাধারণ মানুষরা খুবই উপকৃত হবেন। কারণ খুবই অল্প টাকার বিনিময়ে নামী চিকিৎসকদের দেখানোর সুযোগ তারা পাবেন।”