তপন দণ্ডিকাণ্ডে পুলিশের সঙ্গে দেখা করলেন তৃণমূলনেত্রী প্রদীপ্তা চক্রবর্তী। স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে বালুরঘাটে সাইবার ক্রাইম থানায় দেখা করতে যান বালুরঘাট পুরসভার প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন এই মামলার তদন্তকারী অফিসার জেলা পুলিশের ডিএসপি ডিএনটি প্রদীপ সরকারের সঙ্গে দেখা করেন প্রদীপ্তা। দণ্ডিকাণ্ডের তদন্তে সবরকমভাবে সহযোগিতা করবেন বলেই পুলিশকে জানিয়েছেন তিনি।

Pradipta Chakraborty Balurghat : উল্কার গতিতে তৃণমূলে উত্থান! দণ্ডিকাণ্ডে নাম জড়ানোয় রাতারাতি ‘অন্ধকার’-এ বালুরঘাটের প্রদীপ্তা
পুলিশ সূত্রে খবর, বালুরঘাটের সাইবার ক্রাইম থানায় এদিন ৩০ থেকে ৪০ মিনিট ছিলেন প্রদীপ্তা। তদন্তে সবরকম সহযোগিতা করলেও তিনি অভিযোগ স্বীকার করেননি বলেই খবর। এই বিষয় নিয়ে জেলার উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলবেন ডিএসপি ডিএনটি প্রদীপ সরকার। যদিও তদন্তের স্বার্থে এনিয়ে ক্যামেরার সামনে কোনো মন্তব্য করতে চাননি।

জানা গিয়েছে, গত বুধবার পুলিশের তরফ থেকে অভিযুক্ত প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। তপনের দণ্ডিকাণ্ডে তাঁকে পুলিশের সঙ্গে দেখা করতে বলা হয়। সেই নোটিশ পাওয়ার পরই আজ এই মামলার আইও ডিএসপি ডিএনটি প্রদীপ সরকারের সঙ্গে দেখা করেন প্রদীপ্তা চক্রবর্তী। যদিও এই নিয়ে তৃণমূলনেত্রীর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

Balurghat News : দণ্ডি কাণ্ডে কড়া পদক্ষেপ, পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানের পদ খোয়ালেন প্রদীপ্তা
যদিও তৃণমূল নেত্রী দেখা করেছেন কিনা সেই নিয়ে খোলাস করে কিছু বলেনি পুলিশ। ডিএসপি ডিএনটি প্রদীপ সরকার বলেন, ‘আইন অনুযায়ী আমাদের তদন্ত চলছে। যা করার দরকার আমরা সেটা করছি। উনি তদন্তে সহযোগিতা করছেন।’

এই প্রসঙ্গে জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বাপি সরকার বলেন, ‘মানুষকে বোকা বানানোর জন্য এটা তৃণমূল আর পুলিশের নাটক। আদতে প্রদীপ্তার বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। পদক্ষেপ করা হলে নোটিশ না পাঠিয়ে গ্রেফতার করা হত। তৃণমূলনেত্রীকে আড়াল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। জামিন অযোগ্য ধারা রয়েছে, আমরা চাই ওনাকে গ্রেফতার করা হোক।’

Haridevpur Incident : ‘পরকীয়া’-র ভুয়ো গল্প, মাকে ফাঁসাতেই ঘরে আগুন! চাঞ্চল্যকর দাবি হরিদেবপুরের নাবালিকার
অ্ন্যদিকে জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি সুভাষ চাকি বলেন, ‘আইন আইনের রাস্তায় চলবে, কারও আপত্তি থাকলে আদালতে যাওয়া যেতে পারে। বিজেপি যা রটায় তা সম্পূর্ণ মিথ্যে। তৃণমূলকে কলুষিত করার জন্য এই কাজ করা হয়। দলগতভাবে যা করার, ইতিমধ্যেই করা হয়েছে। আগামী ভোটে এর কোনও প্রভাব পড়বে না। আদিবাসী সমাজ তৃণমূলের পাশে রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আদিবাসীদের জন্য় জয় বাংলা প্রকল্প চালু করেছে। তার সেই প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন। তাই তৃণমূলের পক্ষেই থাকবেন।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version