ওই গৃহবধূ দু’মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলেও জানা গিয়েছে৷ কাকদ্বীপের SDPO প্রসেনজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “আপাতত অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে৷ কি কারণে এই ঘটনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷”
দেহ আজই ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি৷ এই ঘটনায় ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তও করা হচ্ছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে৷ এটি কাকদ্বীপ থানা এলাকার ১১ নম্বর দক্ষিনপাড়া মল্লার চকের ঘটনা বলে জানা গিয়েছে৷
মৃত গৃহবধূর জেঠিমা এই বিষয়ে জানান, “জোর করেই মুস্তানার বিয়ে দেওয়া হয়েছিল৷ বিয়ের পর থেকে পারিবারিক অশান্তিও হচ্ছিল বলে অভিযোগ করেছিল মুস্তানা৷” তার জেরেই এই ঘটনা কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ৷
এদিকে মুস্তানার বাপের বাড়ির লোকের দাবি, তাঁদের মেয়েকে মেরে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোককে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ৷ তবে এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে৷ মুস্তানার বাবা এই বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “মাত্র মাস তিনেক আগেই আমাদের মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু বিয়ের পরেরদিন থেকেই লেগে ছিল পারিবারিক অশান্তি। আমার মেয়ের ওপর অত্যাচার করা হত। বাপের বাড়ি থেকে টাকা চাওয়া হত।
এসব নিয়ে মুস্তানা আমাদের কাছে অভিযোগও জানিয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ করে ওকে মেরে ফেলবে, কল্পনাও করতে পারিনি। দোষীদের কড়া শাস্তি চাই আমরা।”
এদিকে, এখন মুস্তানার বয়স ১৭। তারও মাস তিনেক আগে তাঁর বিয়ে হয়েছে। সেই হিসেবে দেখতে গেলে মুস্তানা এখন নাবালিকা ছিল। নাবালিকা অবস্থায় জোর করে মুস্তানার বিয়ে দেওয়া হল কেন? মুস্তানা যখন বিয়ে করতে চায়নি, তখন জোর করে তাঁর ইচ্ছের বিরুদ্ধে কেন বিয়ে দেওয়া হল?
এই বিষয়ে অবশ্য মুস্তানার পরিবারের কারোরই কোনও বক্তব্য মেলেনি। পুলিশ সূত্রে খবর, এই সব দিকগুলিই খতিয়ে দেখা হবে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে মুস্তানার বাপের বাড়ির সদস্যদেরও।