West Bengal News : যাত্রী তোলাকে কেন্দ্র করে বাসচালক ও অটোচালকদের মধ্যে বচসাকে কেন্দ্র করে মারপিটের ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল সোনারপুরের SD-3 বাসস্ট্যান্ডে৷ আর এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন এক বাসচালক৷ তাঁকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷ তিনি মাথায় চোট পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে৷

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে সোনারপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী৷ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় উত্তেজনা থাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে৷ যদিও অভিযোগ উঠেছে, পুলিশের সামনেই মারপিটে জড়িয়ে পরে দু’পক্ষ।

Bardhaman Station : বর্ধমান স্টেশন চত্বরে আচমকা দুষ্কৃতী তাণ্ডব-দোকান ভাঙচুর, জখম ৩
এলাকা সূত্রে জানা গিয়েছে, সোনারপুর থেকে ঘটকপুকুর পর্যন্ত চলে SD-3 রুটের বাস৷ ঘটকপুকুর থেকে সোনারপুর আসার পথে WB 19K 9522 বাসটি তেমাথা মোড় থেকে অটোর কয়েকজন যাত্রীকে তুলে নেয় বলে অভিযোগ ওঠে৷ এরপরই বাসটি সোনারপুর বাসস্ট্যান্ডে এলে বাস চালকের উপর হামলা চালায় অটো চালকরা, এমনই অভিযোগ করেছেন বাসচালকরা৷

লাঠি নিয়ে তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ৷ ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন বাসচালক তাহির সর্দার৷ আপাতত তিনি চিকিৎসাধীন বলে জানা গিয়েছে৷ এদিকে, বাসচালক রফিক সর্দার ও হাকিমুল সর্দার জানান, “২০ থেকে ২৫ জন অটোচালক যথেচ্ছভাবে মারধর করেছে তাহিরকে৷ আমরা ছাড়াতে গিয়েছি, কিন্তু পারিনি। এমন মার মেরেছে যে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। কোনও মানুষকে কেউ এভাবে মারে না অটোচালকরা যেভাবে মেরেছে। বাসটি কোনও যাত্রীকে ইচ্ছে করে তোলেনি। ওই এলাকায় যানজট থাকায় যাত্রীরা এসে দৌড়ে বাসে উঠে যায়। এটাই অটোচালকদের রাগ।”

Amdanga Shootout : আমডাঙায় তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি, তদন্তে পুলিশ
পালটা হামলার কথা জানিয়েছেন অটোচালকরাও৷ তাদের উপরেও হামলা করা হয় বলে জানিয়েছেন অটোচালক হাসান আলি মোল্লা৷ বলেন, “যাত্রী তোলার পরতিবাদ করায় প্রথমে ওই বাসচালক অটোচালকদের পরিবার তুলে অসম্মানসূচক কথা বলে। তারপরেই তা হাতাহাতির পর্যায় চলে যায়। বাসচালকদের হাতে আমিও মার খেয়েছি। পেটের জ্বালায় দুটো টাকা রোজগার করতে এসে কেনই বা কেউ গালিগালাজ সহ্য করবে! গালিগালাজের প্রতিবাদ করাতেই ওরা মারমুখী হয়ে ওঠে।”

TMC ISF Clash : তৃণমূলের দলীয় পতাকা ছেঁড়ার অভিযোগ ISF-এর বিরুদ্ধে, ফের উত্তপ্ত ভাঙড়
এদিকে, দু’পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে৷ এই বিষয়ে বারুইপুর পুলিশ জেলার ডিএসপি মোহিত মোল্লা জানান, “এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে, ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ৷” এসব কিছুর মাঝে পড়ে নাজেহাল হয়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। তাঁদের দাবি, এসব ঝামেলা বন্ধ হোক। তাতে তাঁদের সময়ে গন্তব্যস্থলে পৌছতে সুবিধে হবে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version