মেট্রো জানাচ্ছে, ২৪ ঘণ্টার চেষ্টায় ডিডব্লিউ-৪০ নামে ওই ওয়াল তৈরি করা হয়েছে। গত ২ মে বিকেল ৩টে নাগাদ শুরু হয় কাজ। শেষ হয় পরদিন বিকেলে। চারপাশ থেকে মাটির ধস আটকাতে সাধারণত নির্মাণকাজে ডায়াফ্রাম ওয়াল তৈরি করা হয়। যার প্রথম ধাপ হলো ইস্পাতের বিশেষ খাঁচা তৈরি করা। সেই খাঁচা নির্দিষ্ট জায়গায় বসিয়ে তার মধ্যে পরিমাণমতো কংক্রিট ঢেলে দেওয়ালটি তৈরি করা হয়।
কলকাতা মেট্রোর মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, ‘ডায়াফ্রাম ওয়াল ডিডব্লিউ ৪০-র খাঁচাটি ১৭.৪০৫ মিটার দীর্ঘ এবং ৪ মিটার প্রশস্ত। ‘কেজ’-টির ওজন প্রায় ১৫ টন।’ বিমানবন্দর স্টেশনে নেমে যে যাত্রীরা বিমানবন্দরে যেতে চাইবেন, তাঁদের আর বাইরে বেরোতে হবে না। মেট্রো স্টেশন থেকে সরাসরি নির্দিষ্ট একটি ওয়াকালেটর ধরে বিমানবন্দরের আন্তর্জাতিক টার্মিনাল বিল্ডিংয়ে ঢুকতে পারবেন তাঁরা। তাই ডায়াফ্রাম ওয়ালটির নির্মাণ অত্যন্ত জরুরি ছিল। ওয়াল তৈরির জন্য বিমানবন্দরের ভলভো বাসস্ট্যান্ডের কাছে যান চলাচলে কিছুটা বদল ঘটানো হয়েছিল।
মেট্রোর তরফে জানানো হয়েছে, ডায়াফ্রাম ওয়ালের নির্মাণকাজ শুরুর আগে এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া এবং বিধাননগর কমিশনারেটের থেকে অনুমতি নেওয়া হয়। এরপর ২ মে রাত সাড়ে দশটা থেকে ৩ মে রাত প্রায় ৮টা পর্যন্ত এয়ারপোর্ট টার্মিনালের কাছে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ রাখা হয়েছিল।