মোকা ঘূর্ণিঝড়ের সর্তকতা জারি করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। মাইকিং করে সতর্কতামূলক প্রচার শুরু করে এনডিআরএফ টিম। আগামী ১২ এবং ১৩ তারিখ ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার কথা রয়েছে স্থলভাগে। দিঘা উপকূলে চরম বিপর্যয়ের সেরকম কোনও সম্ভাবনা আবহাওয়া দফতর এখনও না জানালেও সর্তকতামূলক প্রচারের ক্ষেত্রে কোনও খামতি রাখা হচ্ছে না।
এদিন তিনটি গ্রুপের ছত্রিশ জন এন্ডি আর এফ এর কমান্ডার নামানো হয়েছে। সকল পর্যটকদের সমুদ্রে নামার নিষেধাজ্ঞা জারি করছে। মৎস্যজীবীদের এই দুদিন সমুদ্রে যেতে বারণ করা হয়েছে। এই টিম উপকূলবর্তী গ্রামেও ঘুরবে মাইকিং চালাবে বলে জানা গিয়েছে। দিঘাতে এখন পর্যটকের ভিড় রয়েছে। গরমের ছুটিতে সমুদ্র উপভোগ করার তাগিদে দিঘা সৈকতে ভিড় জমিয়েছেন পর্যটকরা। সেই কারণে আগেভাগেই পর্যটকদের সতর্ক করে দেওয়া হচ্ছে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে মোকা। আগামী ১২ মে পর্যন্ত আরও বেশি শক্তি সঞ্চয় করবে মোকা। এরপর আগামী ১৪ তারিখ নাগাদ এটি স্থলভাগে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশ ও মায়ানমারের মধ্যবর্তী অংশে এটি আছড়ে পড়তে পারে বলে হাওয়া অফিস সূত্রে খবর। ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ প্রায় ১৪০ কিমি প্রতি ঘণ্টা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
মোকা নিয়ে আগেই সবরকম প্রস্তুতি গ্রহণের ব্যাপারে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথমদিকে, পশ্চিমবঙ্গের গাঙ্গেয় উপকূলে মোকা ল্যান্ডফল করার একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। তবে পরবর্তীতে ঘূর্ণাবর্ত তার গতিপথ বদলায়। সে কারণে সরাসরি দিঘা সহ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার উপকূল ভাগে মোকার তাণ্ডব চালানোর কোনও সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে।
তবে আলিপুরদুয়ার দফতরের সূত্র অনুযায়ী, আগামী দুদিন আবহাওয়ায় কিছুটা প্রভাব পড়তে পারে দুই মেদিনীপুর, কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় তাপমাত্রা কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে। সামান্য বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। তবে এনডিআরএফ ইন্সপেক্টর আব্দুস সাত্তার, “কলকাতা থেকে আমাদের টিম এখানে এসেছে। দিঘা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পর্যটন স্থান। সেই কারণে আমরা মোকা নিয়ে প্রচার কার্য চালাচ্ছি। সমুদ্রে নামতে নিষেধ করা হচ্ছে।”