Uttar 24 Pargana : প্রাইমারি ২০১৬-র ৩৬ হাজার চাকরি বাতিল নিয়ে হাইকোর্টের পাশে দাঁড়ালেন CPIM নেতা সুজন চক্রবর্তী। এদিন বারাসত CPIM জেলা কার্যালয়ে নিজের মতামত জানান তিনি।

Primary Teacher Recruitment Scam: প্রাথমিকে প্রশিক্ষণহীন ৩৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল, নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের
বলেন, “হাইকোর্ট আজ একটা গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছে। প্রাইমারি ২০১৬-র নিয়োগে যারা দুর্নীতি, বেআইনি বা টাকার খেলায় নিয়োজিত হয়েছিলেন, প্রশিক্ষণ যাদের ছিল না, এমন ৩৬ হাজার নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে। ৪৫ হাজারের ৩৬ হাজার, অর্থাৎ ৮০ শতাংশ। এর আগে আমরা অনেকবার বলেছি, খুব বেশি হলে ২০ শতাংশ জেনুইন, বাকি ২০ শতাংশ বেআইনি চাকরি। তাতে যেটা সর্বনাশ হচ্ছিল অযোগ্যদের হাতে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম পড়ছিল। ভবিষ্যতের প্রজন্মকে রক্ষা করতে গেলে যোগ্যতার মাপকাঠি ছাড়া শিক্ষক নিয়োগ করা যায় না। ফলে এদের বাতিল করার বিকল্প ছিল না।”

Primary TET Recruitment:নিয়োগের আশায় অচিন্ত্য-পিয়ারা, হাইকোর্টের রায়ে ধরনা মঞ্চে সেলিব্রেশন
তিনি আরও বলেন, “এই বেআইনি, বেঠিক নিয়োগ করার রিপোর্ট কোর্টের কাছে তো কাউন্সিল দিয়েছে। এমনটা তো নয় যে এই ৩৬ হাজার নামের তালিকা আকাশ থেকে এসেছে। বাকি ৯ হাজার আসেনি কেন? বাকিরা জেনুইন। কোর্ট যা রায় দিয়েছে, তা এদেরকে বাতিল করে এখুনি ফেলে দেওয়া হবে না, পার্শ্ব শিক্ষকের মতো করে রেখে দেওয়া হবে। কারণ যাতে আগামী ৩ মাসের মধ্যে এই পার্শ্ব শিক্ষক থাকা অবস্থায় নতুন শিক্ষক নিয়ে আসা যায়। নতুন শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে ৩ মাসের মধ্যে।”

এছাড়াও সুজন বাবু রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করে বলেন, “সরকারের টাকার ব্যবস্থাপনা আছে। যদি না থাকে তাহলে টাকার খেলা যারা করেছে মানিক ভট্টাচার্যরা, টাকা সেখান থেকে আসবে। টাকার বিনিময়ে যাদের নিয়োগ হয়েছে তাদের টাকা ফেরত দিতে হবে।”

Justice Abhijit Ganguly : ডিফেনসিভ তৃণমূল, আত্মবিশ্বাসী CPIM! ৩৬ হাজার চাকরি বাতিল নিয়ে শাসক-বিরোধী তাল ঠোকাঠুকি
২০১৬ সালের কথা মনে করিয়ে তিনি বলেন, “যখন ২০১৬ সালে এই নিয়োগ হয় তখনই বামেরা বলেছিল ওয়েবসাইটে স্বচ্ছতার সঙ্গে লিস্ট প্রকাশ করা হোক।সরকার করেনি। বলা হয়েছিল ৪২ হাজার। তারপর দেখা গেল ৪০ হাজার নিয়োগ হল। এরপর সেটা হয়ে গেল ৪৫ হাজার। তারপর দেখা গেলো আইনকানুনের ঠিকঠিকানা নেই। আজ খুবই খারাপ লাগছে, যাদের চাকরি চলে যাবে তাদের জন্য নিশ্চয়ই খারাপ লাগবে। তাদের তো অন্য কিছু করার যোগ্যতা ছিল। অন্য কাজ করতে পারত। তারা অন্য কাজ করতে পারলেন না, কারণ সরকার তাদের বেআইনি কাজে ঢুকিয়ে দিলো। এই ছেলে-মেয়েদের কয়েকটা বছর নষ্ট হল। এই দায় তো সরকারের, সেই দায় সরকারকেই নিতে হবে।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version