রেশনে কারচুপির অভিযোগ দীর্ঘদিনের। রেশন দোকান মালিকদের বিরুদ্ধে উপভোক্তাদের বরাদ্দ রেশন না দেওয়ার অভিযোগ ওঠে বিভিন্ন সময়ে। রেশন দোকানের কারচুপি আটকাতে কড়া পদক্ষেপের পথে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। খাদ্য দফতর সূত্রে খবর, রাজ্যের ২১ হাজার রেশন দোকানে বৈদুতিন ওজন মাপার যন্ত্র বা ইলেকট্রিক্যাল ওয়েট মেশিন বসানোর কাজ শুরু করা হবে। আগামী মাসের মধ্যেই এই প্রক্রিয়া শেষ হবে বলে খাদ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।

Narendra Modi : রেশন ডিলারদের পাওনা নিয়ে মোদীকে চিঠি সৌগতর
জানা গিয়েছে, বৈদ্যুতিক ওজন মাপার যন্ত্র রেশন দোকানে থাকা ই-পস যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত থাকবে। উপভোক্তা কী পরিমাণ খাদ্যশস্য তুলছেন বা রেশন দোকানের তরফে তাঁকে কী পরিমাণ রেশন দেওয়া হচ্ছে ই-পসের মাধ্যমে তার যাবতীয় তথ্য খাদ্য দফতরের সার্ভারে চলে যাবে। ফলে সমগ্র ব্যবস্থার উপর কেন্দ্রীয়ভাবে নজরদারি সম্ভব হবে।

গোটা রাজ্যের রেশন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনতে আগেই গ্রাহকের চোখের রেটিনা স্ক্যান ও আধার সংযোগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। এর পাশাপাশি আঙুলে ছাপ নেওয়ার পদ্ধতি আগে থেকেই চালু ছিল। খাদ্য দফতর সূত্রে খবর, এই ব্যবস্থা চালু হওয়ার পরও বেশ কিছু জায়গা থেকে রেশন দোকানের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত রেশন না দেওয়ার অভিযোগ সামনে আসে। সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

DA Protest : বদলিতে আন্দোলনের ছায়া দেখছেন কর্মীরা
খাদ্য দফতর সূত্রে খবর, রাজ্যে ২১ হাজার রেশন ডিলার অধীনে প্রায় ৯ কোটি ২০ লাখ গ্রাহক রয়েছেন। যত দ্রুত সম্ভব রাজ্যের সব রেশন দোকানে বৈদ্যুতিন ওজন মেশিন বসানোর কাজ শেষ করে ফেলতে চাইছে খাদ্য দফতর। এর পাশাপাশি নতুন রেশন ডিলারদের লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে দোকান পিছু গ্রাহক সংখ্যা ৩ হাজারের মধ্যে বেঁধে রাখতে চাইছে খাদ্য দফতর।

এই প্রসঙ্গে খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ ফোনে এই সময় ডিজিটালকে বলেন, ‘সাধারণ উপভোক্তারা তাঁদের প্রাপ্য রেশন থেকে যাতে বঞ্চিত না হয় সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। ডিজিটাল ওয়েয়িং মেশিনের সঙ্গে ই-পস যুক্ত করা হবে। ফলে সেখানে যাবতীয় তথ্য সংরক্ষিত থাকবে। ফলে অসৎ দোকানদারদের উপর নজরদারি সম্ভব হবে। ইতিমধ্যেই অনেকে রেশন দোকানে এই কাজ শেষ হয়েছে। আমরা যত দ্রুত সম্ভব বাকি রেশন দোকানেও এই কাজ শেষ করার চেষ্টা করছি।’

Nabanna : ধান কেনায় দুর্নীতি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ নবান্নের
অন্যদিকে খাদ্য দফতর সূত্রে খবর, ১ মার্চ থেকে প্রত্যেক জেলার পাঁচটি করে রেশন দোকানে রেটিনা স্ক্যান করে রেশন দেওয়ার প্রক্রিয়া পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছে। অন্যদিকে জেলায় জেলায় খাদ্য দফতরে কর্মী সংকট মেটাতে নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। খাদ্য দফতরের অধিকাংশ পরিষেবা অনলাইন চালু হওয়ার ফলে সদর দফতর থেকে বেশ কিছু কর্মীদের জেলায় বদলি করা হবে বলে জানা গিয়েছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version