নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে গোটা রাজ্যজুড়ে তোলপাড় চলছে। এই অবস্থায় মালদা থেকে এক শিক্ষিকার গ্রেফতারিতে নতুন করে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। জাল সার্টিফিকেট দিয়ে দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করার পর ওই শিক্ষিকাকে গ্রেফতার করা হয়েছেষ। জাল সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার ঘটনা সামনে আসার পর ওই শিক্ষিকা গ্রেফতার করেছে পুলিশ।শনিবার ধৃত শিক্ষিকাকে মালদা জেলা আদালতে পেশ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মানিকচক থানার পুলিশ। জানা গিয়েছে, ধৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকার নাম চাঁপা মণ্ডল। সে মানিকচকের হাড্ডাটোলা গ্রামের বাসিন্দা।

Recruitment Scam : CBI রাডারে মধ্যশিক্ষা পর্ষদকর্তা! নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নিজামে জিজ্ঞাসাবাদ
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার বর্নাহি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষিকা হিসেবে নিযুক্ত হন চাঁপা। জাল তফসিলি সার্টিফিকেট দেখিয়ে চাকরি পাওয়ার ঘটনায় আদালতের নির্দেশ অনুসারে মালদার মহকুমা শাসক পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। মহকুমাশাসকের অভিযোগের ভিত্তিতে এই তদন্তে নেমে ওই শিক্ষিকাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।

Justice Abhijit Ganguly : ডিফেনসিভ তৃণমূল, আত্মবিশ্বাসী CPIM! ৩৬ হাজার চাকরি বাতিল নিয়ে শাসক-বিরোধী তাল ঠোকাঠুকি
এই ঘটনা নিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই স্কুলের এক প্রাথমিক শিক্ষিকা বলেন, ‘আমাদের স্কুলেই শিক্ষিকা হিসেবে উনি কাজ যোগ দেন। কিন্তু উনি যে এইভাবে জালিয়াতি করে চাকরি পেয়েছেন তা আমাদের জানা ছিল না। পুলিশি তদন্তে নাম উঠে আসায় আমরা অবাক হয়ে গিয়েছি। যদি এমন করে থাকেন, তবে কঠোর শাস্তি দেওয়া উচিত।’

নিয়োগ দুর্নীতি রাজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। দীর্ঘদিন ধরে স্বচ্ছ নিয়োগের দাবিতে ধরনায় চাকরিপ্রার্থীরা। আদালতের নির্দেশে অতীতে একের পর এক বেআইনি নিয়োগ বাতিল হয়েছে। এর মধ্যেই শুক্রবার একসঙ্গে ৩৬ হাজার প্রশিক্ষণহীন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল করে কলকাতা হাইকোর্ট। এই রায় দিয়ে চার্দিকে কার্যত আলোড়ন ফেলে দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। একই সঙ্গে তিনমাসের মধ্যে নিয়োগের নির্দেশ দেন তিনি।

Primary Teacher Recruitment Scam: প্রাথমিকে প্রশিক্ষণহীন ৩৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল, নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের
আদালত নির্দেশ দেয়, যাঁদের চাকরি বাতিল করা হল, তারা আগামী চারমাস স্কুলে যেতে পারেবন। এর পাশাপাশি তাঁদের প্যারা টিচার হিসেবে বেতন দেওয়ার কথাও জানায় আদালত। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, নতুন করে নিয়োগ হলে এই সব চাকরিপ্রার্থীরা ফের আবেদন করতে পারবেন, যদি তাঁদের প্রশিক্ষণ থাকে। এই রায় নিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে যেতে পারে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। আগামী দিনে এই তদন্ত কোন দিকে যায় সেটাই দেখার।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version