এই সময়: কাজ দেওয়ার নাম করে বিভিন্ন জেলা থেকে তো বটেই, ভিন রাজ্যের কিশোরীদেরও আনা হতো শহরে। আনার আগে তাদের বাবা-মায়ের হাতে কাজের আগাম বেতন বাবদ দেওয়া হতো টাকা। আর শহরে এনেই ঘরবন্দি করে রাখা হতো ওই কিশোরীদের। নামানো হতো দেহব্যবসায়। প্রতিবাদ করলেই জুটত মারধর। এ ভাবেই ৬ জন কিশোরীকে সামনে রেখে ৮ আড়কাঠি মোটা টাকা রোজগার করছিল বলে অভিযোগ।

Siliguri Tourism : সুদর্শন যুবকের হাতসাফাইয়ে নিঃস্ব পর্যটক, ধৃত শিলিগুড়িতে
বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় দমদম ক্যান্টনমেন্টের একটি বাড়িতে হানা দিয়ে ওই ৬ কিশোরীকে উদ্ধার করল ব্যারাকপুর কমিশনারেটের পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৮ অভিযুক্তকেও। পুলিশের অনুমান, ওই কিশোরীদের বাইরে পাচারের পরিকল্পনা ছিল অভিযুক্তদের। গত কয়েক দিন ধরেই দমদম ক্যান্টনমেন্টের ওই বাড়িতে সকাল-সন্ধ্যা অনেক অজানা লোকজনকে আসতে দেখছিলেন স্থানীয়রা। মাঝেমধ্যে কান্নারও আওয়াজ পাচ্ছিলেন স্থানীয়রা। এলাকাবাসীর থেকে খবর পেয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ।

Barrackpore Police Commissionerate : গাড়ি-বাইক নয়, দুষ্কৃতী ধরতে কয়েক দশক আগের পন্থা নিচ্ছে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট
চেষ্টা করেও ৮ অভিযুক্তের কেউ পালাতে পারেনি। ওই কিশোরীদের সঙ্গে কথা বলে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ওই একটি বাড়িই নয়, অন্য কয়েক জায়গাতেও একই ভাবে তাদের মতো আরও অনেককে আটকে রেখে একই কাজ করানো হচ্ছে। ক্যান্টনমেন্টের বাড়িটির মালিক পুলিশের কাছে দাবি করেছেন, ওই কিশোরীদের কম্পিউটার ট্রেনিংয়ের জন্যে শহরে আনা হয়েছিল। সে জ্যনেই ঘরভাড়ার প্রয়োজন ছিল। এই দাবি কতটা ঠিক, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক কর্তা বলেন, ‘এই ঘটনায় আর কে কে জড়িত, ওই কিশোরীদের নিয়ে আর কী পরিকল্পনা ছিল–খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version