দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশনের অধীনে এই বাঁধ তৈরির কাজ খতিয়ে দেখলেন সোনামুখির BJP বিধায়ক দিবাকর ঘরামী। সঠিক ভাবে কাজ না হলে আন্দোলনে নামারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন BJP বিধায়ক।
একটা সময় ছিল বর্ষাকাল এলেই দামোদর চরের নিকটবর্তী গ্রামগুলোর বাসিন্দাদের চোখে নেমে আসতো অন্ধকার। বর্ষার জলে হৃষ্ট-পুষ্ট দামোদরের চোখ রাঙানি ব্যাপক দুশ্চিন্তার কারণ ছিল গ্রামবাসীদের কাছে। দামোদরের পাড়ে নিয়ম মাফিক বাঁধাই না থাকার জেরে গ্রামের মধ্যে হুড়মুড়িয়ে ঢুকে পড়ত দামোদরের জল।
আর তাতেই জনজীবন বিপন্ন হতো এলাকাবাসীর। ইতিমধ্যেই কয়েকশো বিঘা তিন ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গিয়েছে। রাজ্যে রাজনৈতিক পালা বদলের পর মানুষগুলোর সমস্যার কথা রাজনৈতিক কর্মকর্তারা শোনার পরেও মিলতো শুধুই আশ্বাস। তবে এবার মানুষের কথা বিবেচনা করে শুরু হয়েছে দামোদর নদী ভাঙন রোধে বাঁধ তৈরির কাজ।
দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশনের আওতাতেই এই বাঁধ তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। সোনামুখী ব্লকের উত্তর নিত্যানন্দপুর সংসদের সমিতিমানা গ্রামে নদী ভাঙন রোধে বাঁধ তৈরির কাজ সরেজমিন পরিদর্শন করেন সোনামুখির BJP বিধায়ক দিবাকর ঘরামি।
সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে দিবাকর ঘরামির দাবি, “মানুষের এই সমস্যার কথা প্রথম আমি বিধানসভায় গিয়ে বলেছিলাম এবং আমার কথা মোতাবেকই এই কাজ শুরু হয়েছে।”
তিনি এও বলে যান , “এই বাঁধ তৈরি করার সময় শাসক দলের কেউ কাটমানি নিচ্ছে কি না তারও পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসাব আমি নেব এবং কাজ খারাপ হলে আগামী দিনে আন্দোলনেও নামব।”
অপরদিকে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি মৃত্যুঞ্জয় মুর্মু জানান, “বারবার তৃণমূল নেতৃত্বের তরফ থেকে ডিভিসি কর্তৃপক্ষকে জানানোর পরে এই কাজ শেষমেষ শুরু হয়েছে। এলাকাবাসীর ভীষণ অসুবিধা হচ্ছিল। বহু জমি চলে গিয়েছে জলের তলায়।”
অন্যদিকে দায়িত্বপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার জানান, “প্রায় ১ কোটি ৭৭ লাখ ৯৪ হাজার টাকা ব্যয়ে বাঁধ তৈরির কাজ শুরু হয়েছে।” আগামী বর্ষায় দামোদরের চোখ রাঙ্গানি থেকে মুক্তি পাওয়ার আশাতেই এখন বুক বাঁধছেন এলাকাবাসীরা।