এর ফলে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয় স্বাস্থ্য ভবন ও সন্নিহিত এলাকায়। আন্দোলনকারীদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছেন ডিপ্লোমা ডাক্তারি এবং ১৫ দিনের নার্স তৈরি করে গ্রামীণ স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিকে পরিচালনা করবেন। এর মাধ্যমে গ্রামীন জনসাধারণকে দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিকে পরিণত করার চেষ্টা হচ্ছে।
এই সিদ্ধান্ত অবৈজ্ঞানিক বলে দাবি তোলেন আন্দোলনকারীরা। বিক্ষোভে অংশগ্রহন করা এক আন্দোলনকারী বলেন, “মেডিক্যাল, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যব্যবস্থা ধ্বংস করা চলবে না। সমস্ত শূন্য পদে চিকিৎসক ও নার্স নিয়োগ করতে হবে। ৩ বছরের ডিপ্লোমা ডাক্তারের কথা বলে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তারি পেশাটিকেই অপমান করেছেন।
যে কেউ চাইলেই ডাক্তার হতে পারেন না। এরকম ভাবে রাজ্যের গ্রামের মানুষদের অনিসচিত ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। অবিলম্বে এটা বাতিল করতে হবে।”
এই দাবি নিয়ে আন্দোলনকারীরা মিছিল করে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে আসেন। সেখানে আগের থেকে উপস্থিত ছিল বিধান নগর কমিশনারেটের বিশাল পুলিশ বাহিনী।
স্বাস্থ্য ভবনের বাইরে রাস্তায় মিছিল আটকে দিলে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি বেধে যায়। সেই মুহূর্তে স্বাস্থ্য ভবনের গেটের বাইরে রাস্তার পাশেই আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।
পরবর্তী সময়ে পুলিশের তরফ থেকে আন্দোলনকারীদের চারজনকে স্বাস্থ্য ভবনের ভিতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়। চারজনের প্রতিনিধির দল স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমের কাছে তাদের ডেপুটেশন জমা দেন। এদিকে, এই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তৈরি করা হয়েছে একটি কমিটি।
রাজ্য সরকারের তরফে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটিতে রয়েছেন ১৪ জন সদস্য। বিশেষজ্ঞদের চিকিৎসকদের পাশাপাশি স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং স্বাস্থ্য দফতরের লোকেরাও রয়েছেন সেই কমিটিতে। মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাব বাস্তবায়িত করা যায় কি না, সেটাই খতিয়ে দেখবে ওই কমিটি। যদিও এই প্রস্তাবের বিরোধিতায় সরব হয়েছেন রাজ্যের চিকিৎসক মহলের একাংশ।