West Bengal News : এগরার বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের পর কেঁপে উঠেছে গোটা রাজ্য। আর এগরার ঘটনার জেরেই এবার বাজি মজুত কোথায় আছে তার লুকআউট তল্লাশিতে নেমে পড়েছে বারাসত জেলা পুলিশ। বুধবার বিকেলে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে বারাসতে টালিখোলা আড়িববাড়ি এলাকা থেকে ২৫০ কেজি অবৈধ বাজি উদ্ধার করে বারাসত জেলা পুলিশ। একই সঙ্গে দত্তপুকুর এলাকাতেও এই তল্লাশি অভিযান চলছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

এগরার বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের পরই নড়েচড়ে বসে বারাসত থানার পুলিশ। বুধবার বিকেল থেকে তল্লাশি অভিযান শুরু করে। অভিযানে বেড়িয়েই উদ্ধার করল বিপুল পরিমাণ বাজি।

Egra Bomb Blast: এগরা টু পিংলা বেআইনি কারবারে বারবার বিস্ফোরণ! পুলিশি নজর এড়িয়ে আদৌ সম্ভব?
পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বারাসত ব্যারাকপুর রোড সংলগ্ন আরিফবাড়ি ও টালিখোলা এলাকায় কয়েকটি বাড়িতে বাজি মজুত করা আছে এমন জায়গায় হানা দেয়। উদ্ধার হয় ২৫০ কেজি বাজি। পুলিশের তল্লাশির আগেই পালিয়ে যায় ওই বাড়ির মালিক।

শুধু বারাসত নয় দত্তপুকুর এলাকা জুড়েও একইভাবে চলছে অবৈধ বাজি মজুত এলাকায় পুলিশি তল্লাশি। গতকাল এগরার ঘটনার পর থেকে রাজ্য জুড়ে এই তল্লাশি অভিযানে নেমে পরে রাজ্য পুলিশ। সেই অভিযানে বাদ যায়নি উত্তর চব্বিশ পরগনাও।

Egra Blast : এগরার বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ! রাস্তায় পড়ে ছিন্নভিন্ন দেহ, ঘটনাস্থলে পুলিশ-দমকল
গতকালই হাবরা এলাকাতে চলে তল্লাশি। উদ্ধার হয় বিপুল পরিমান অবৈধ বাজি। তারপরেই বুধবার বিকেলে বারাসত, দত্তপুকুর এলাকাতে শুরু হয় বারাসত জেলা পুলিশের লুকআউট তল্লাশি। গতকাল এগরার খাদিকুল এলাকায় বাজি বিস্ফোরণের পর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের কোথায় কোথায় অবৈধ ভাবে বাজি তৈরি করা হচ্ছে তার তদন্ত করার নির্দেশ দেন।

সেই নির্দেশের পর বুধবার সন্ধ্যায় মহিষাদল থানার পুলিশ মহিষাদলের চিঙ্গুড়মারী এলাকায় অভিযান চালায়। অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু বাজি তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করে। পুলিশের তল্লাশির খবর পাওয়া গিয়েছে দক্ষিন ২৪ পরগনা, মালদা, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান এমনকি উত্তরবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলা থেকেও। এর মধ্যে বেশ কিছু জায়গা থেকে বেআইনি বাজি উদ্ধার করা হয়েছে।

North 24 Parganas News : এগরার ঘটনার পরেই তৎপরতা, বাজি কারখানা থেকে দোকানে আচমকা হানা পুলিশের
যদিও এই নিয়ে বিরোধীদের কটাক্ষও শোনা গিয়েছে। বারাসতের স্থানীয় এক BJP নেতা বলেছেন, “বিলম্বিত বোধোদয়। এই কাজ পুলিশ যদি আগে থেকে করত তাহলে কিছু প্রাণ বেঁচে যেত। শাসকদলের দলদাস না হয়ে পুলিশের উচিৎ নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করা, যেমন আজকে করছে। আর উচিৎ রাজ্যের সমস্ত জায়গার বেআইনি অস্ত্র ও বাজি কারখানা বন্ধ করা।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version