পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, খানাকুল থেকে বহু যুবক শ্রমিক হিসাবে হাওড়া জেলার পোদরা সংলগ্ন গঙ্গা নদীতে ছাকনি বালি তোলার কাজ করে নির্দিষ্ট কিছু বালিখাদান মালিকের নিয়ন্ত্রণে। সেই মতো গত সোমবার খানাকুল থেকে একটি শ্রমিক দল গঙ্গা থেকে বালি তোলার জন্য হাওড়া যায়। মোট ন’জন শ্রমিকের দল নৌকা করে মাঝ গঙ্গায় বালি তোলার কাজ শুরু করে।
তারপর বালি বোঝাই নৌকা করে ফেরার পথে প্রবল কালবৈশাখী ঝড়ের কবলে পড়ে যায় তাঁরা। এই দলের ছ’জন শ্রমিক সাঁতার কেটে গঙ্গার পাড়ে ওঠেন। কিন্তু তিন জন মাঝ গঙ্গা থেকেই নিখোঁজ হয়ে যান। নিখোঁজের খবর খানাকুলে ওই দুই পরিবারের বাড়িতে আসে।
তারা দ্রুত হাওড়ায় গিয়ে বালি খাদানের মালিকের সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু তাঁদের ছেলের কোনও খোঁজ পাননি। এই বিষয়ে কাবিলপুরের বাসিন্দা কানাই সর্দার বলেন, “আমার ছেলে বালিখাদের বালি তোলার কাজে গিয়েছিলেন। খবর পাই বোট ডুবে গিয়েছে। বাড়ির লোকজন কান্নাকাটি শুরু করে। এরপর হাওড়ার বালিখাদ মালিকের সঙ্গে কথা বলি। ওনারা বলেন, বালিখাদের কথা বলা যাবে না। মাছ ধরতে গিয়ে নৌকা ডুবি হয়েছে বলতে হবে বলে লিখিয়ে নেয়। বাঁচার তাগিদে ওই কথা মেনে নিয়ে চলে আসি। তবে ছেলেকে জীবিত বা মৃত অবস্থায় ফিরে পেতে আমরা খানাকুল থানায় জানাব।”
অপরদিকে নিখোঁজ শ্রমিকের কাকা বলেন, “কালবৈশাখী ঝড়ের কবলে পড়েই নিখোঁজ হয়ে যায়। গঙ্গা নদী থেকে বালি তুলে ফিরছিল তখনই ঘটনাটি ঘটে। ঝড়ের তাণ্ডবে নৌকা উলটে যায়। তখন নৌকায় ছিলেন ৯ জন। তাঁদের মধ্যে ৬ জন কোনোরকমে সাঁতার কেটে পাড়ে ওঠেন। কিন্তু সুরজিৎ, সমীর ও আমতার অমিতের খোঁজ পাওয়া যায়নি।”
সবমিলিয়ে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত খানাকুলের ওই দুই শ্রমিকের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। এখন দেখার কবে দুই শ্রমিকের খোঁজ পাওয়া যায়। সেই আশাতেই বসে আছেন পরিবারের লোকজন।