এই সময়: রাজ্যে শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষাকর্মীদের বদলি নিয়ে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর নির্দেশে স্কুল শিক্ষা দপ্তরের তৈরি গাইডলাইন এ বার প্রশ্নের মুখে পড়ল। ওই গাইডলাইন মেনে বদলি করা হলে এবং তা না মানলে শিক্ষক, কর্মীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া বা চাকরিতে ছেদেরও হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন বিচারপতি বসু। কিন্তু রাজ্যের তৈরি সেই গাইডলাইন স্কুল সর্ভিস কমিশনের রুল ১০ সি-র বিধিভঙ্গ করছে বলে অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে পাল্টা মামলা হয়। বৃহস্পতিবার বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ আপাতত নয়া গাইডলাইন মেনে শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের বদলির সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছে।

WB 36 Thousand Teachers List : ৩৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ, ডিভিশন বেঞ্চে মামলার অনুমতি পর্ষদকে
ডিভিশন বেঞ্চের বক্তব্য, যদি কেউ এখনই বদলি হয়ে নতুন কর্মক্ষেত্রে যোগ নাও দেন, তবে সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ মতো তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না। মামলাকারীদের আইনজীবী শক্তিপদ জানা ও সুদীপ ঘোষ চৌধুরীরা মক্কেলদের হয়ে দাবি করেন, এই গাইডলাইন কার্যকরী হলে কমিশনের আগের বিধির সঙ্গে সঙ্ঘাত তৈরি হবে। ডিভিশন বেঞ্চ আবেদনের যুক্তি উপলব্ধি করে জানিয়ে দেয়, ১৩ জুন পর্যন্ত শিক্ষকরা যদি নতুন জায়গায় কাজে যোগ নাও দেন, তা হলেও তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। ১৩ জুন হবে এই মামলার চূড়ান্ত শুনানি।

Justice Abhijit Ganguly : ৩৬ নয় ২৭ হাজার চাকরি বাতিল হওয়া উচিত! বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ আইনজীবীর
এ দিকে এই বদলি ইস্যুতেই কয়েক জন শিক্ষক ইতিমধ্যে বিচারপতি বসুর এজলাসেও আবেদন করেছেন। তাঁদের ক্ষেত্রে অবশ্য সিঙ্গল বেঞ্চ কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি। সেই মামলার শুনানি আগামী ১৬ জুন। তবে স্কুল সার্ভিস কমিশন সূত্রে খবর, নতুন গাইডলাইন মেনে ৬০৫ জন শিক্ষক-কর্মীকে এখনও পর্যন্ত নতুন জায়গায় বদলির সুপারিশ করা হলেও মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ব্যস্ত থাকায় কাউকেই এখনও পর্যন্ত নিয়োগপত্র দেওয়া হয়নি।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version