হাওড়া জেলা থেকে দশম স্থান পেয়েছে জয়নগর পল্লিশ্রী বিদ্যানিকেতনের ছাত্রী নম্রতা কোলে। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৩। শুক্রবার ফল প্রকাশের পরেই খুশির হাওয়া নম্রতার বাড়িতে। বিদ্যালয়ের শিক্ষিকারা ছাড়াও পাঁচ জন গৃহ শিক্ষকের কাছে পড়াশোনা করত নম্রতা। পড়াশোনা ছাড়াও আঁকা তার অন্যতম নেশা বলে জানায় নম্রতা কোলে। ভবিষ্যতে নিজেকে একজন ডাক্তার হিসাবে প্রতিষ্ঠা করার জন্য নিট পরীক্ষায় বসার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানায় জানায় নম্রতা।
হাওড়া জেলায় প্রথম হয়েছে বাগনান আদর্শ বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী অনুস্মিতা সাঁতরা। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৬। অনুস্মিতা রাজ্যের মধ্যে সপ্তম স্থান অধিকার করেছে। অনুস্মিতা জানায় সেভাবে নিয়ম করে ঘড়ি ধরে পড়াশোনা না করলেও টেস্ট পরীক্ষার পর দিনে ১২/১৩ ঘন্টা পড়াশোনা করত সে। পড়াশোনা ছাড়াও নাচ এবং মোবাইল দেখা তার অন্যতম নেশা বলে জানায় অনুস্মিতা।
মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৬৮৪ নম্বর পেয়ে রাজ্যের মধ্যে নবম স্থান অধিকার করেছে উলুবেড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র দৈপায়ন মান্না। নিজের মা-বাবা, বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকার পাশাপাশি ৪ জন প্রাইভেট টিউটরের কাছে পড়াশোনা করত দৈপায়ন। পড়াশোনা ছাড়াও সাহিত্য, গল্পের বই পড়া, ইতিহাস চর্চা দ্বৈপায়নের অন্যতম বিষয়। ভবিষ্যতের অঙ্ক নিয়ে পড়াশোনা করতে চায় দৈপায়ন।
মোট ৬ লাখ ৮২ হাজার ৩২১ জন এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল। পাশের হার গত বছরের তুলনায় এ বছর কিছুটা কম। তবে হাওড়া জেলার পাশের শতকরা হার বেড়েছে বলেই জানা গিয়েছে। পাশের শতকরা হারের দিক থেকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় পাশের হার সবচেয়ে বেশি। দ্বিতীয় স্থানে কালিম্পং, তৃতীয় স্থানে কলকাতা। গত বছর পাশের হার ছিল ৮৬.৬০ শতাংশ, যা এই বছরের তুলনায় কিছুটা বেশি।