প্রবীর চক্রবর্তী ও শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়: কুন্তল ঘোষের চিঠি মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে টানা ৯ ঘণ্টা ৪০ মিনিট জেরা করেছে সিবিআই। তাঁকে যেসব প্রশ্ন করা হয়েছে তার অধিকাংশেরই সারবত্তা নেই। পাশাপাশি, গোটা জিজ্ঞাসাবাদের নির্যাস হল শূন্য ও অশ্বডিম্ব বলে দাবি করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর অভিষেক নিজাম প্যালেস থেকে বেরিয়ে বিবৃতি দিতেই মুখ খুললেন শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার দাবি, ইয়ে ডর মুঝে আচ্ছা লাগা হ্যায়। দেখ কেমন লাগে।

আরও পড়ুন- টানা সাড়ে ৯ ঘণ্টা জেরার নির্যাস শূন্য, সিবিআই দফতর থেকে বেরিয়ে বললেন অভিষেক

অভিষেককে জিজ্ঞাসবাদ নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, সংবাদমাধ্যমের কাছ থেকে জেনেছি গোটা বিষয়টা। স্বাভাবিকভাবে এই কুন্তল, শান্তনুদের সৃষ্টিকর্তা হলেন উনি। এর কেউ ২০১১ সালের আগে রাজনীতিতে বা তৃণমূলে ছিলেন না। তৃণমূলের যুব সংগঠনের সভাপতি ছিলাম আমি। আমাকে সরানো যাচ্ছিল না। তাই পাল্টা যুবা তৃণমূল তিনি তৈরি করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই চোর ডাকাতরা তৈরি হয়েছিল তাঁর ভাইপোর হাত ধরেই। স্বাভাবকিভাবে এমন কিছু প্রশ্নের তিনি সম্মুখীন হয়েছেন যার ফলে তিনি প্রচন্ড বিচলিত। আতঙ্কিত ও দিশেহারা। তিনি বুঝেছেন তাঁর নবজোয়ারের পথ তিহাড়ের দিকে এগিয়ে চলেছে। সেই আতঙ্কেই তিনি এসব বলেছেন। আমাকে ইঙ্গিত করে যতবার বলবেন ততবার আমার রাজনৈতিক লড়াই, এই পিসি ভাইপোকে উপড়ে ফেলার লড়াই, মোদীজির আদর্শকে বাংলায় প্রতিষ্ঠা করার লড়াই আরও বেগবান হবে। হিন্দিতে যাকে বলে, ইয়ে ডর মুঝে আচ্ছা লাগ রাহা হ্যায়। 

নিজাম প্যালেস থেকে বেরিয়ে অভিষেক বলেন, ইডি-সিবিআইয়ের মূল টার্গেট তিনিই। কারণ তাঁর নবজোয়ার যাত্রায় ভয় পেয়েছে বিজেপি।  এনিয়ে শুভেন্দু বলেন, ওর এই বক্তব্য বাতিল হয়েছে। ২০১৬ সালে ও-ই কে ডি সিংকে দিয়ে ওইসব করিয়েছিল। তার পরেই ৮২ হাজার ভোটে জিতেছিলাম। ২০২১ সালে আমাকে হারানোর জন্য পিসিকে পাঠিয়েছিল। এই কোম্পানির মালিক যিনি। ও একমাত্র অস্ত্র। ওর গদ্দার শব্দটা নন্দীগ্রামের মানুষ প্রত্যাখান করেছে। ওর যদি ক্ষমতা থাকে ও প্রমাণ দিয়ে কথা বলুক। ও আরও ঘুরুক। যত দড়ি দিয়ে রাস্তা আটকাবে ততই বিজেপির ভোট বাড়বে। ওকে আরও বের হতে বলুন। ও যাওয়া মানে মানুষের অসুবিধে। পুলিসের তাণ্ডব। বীরভূমের কিছু বিএড কলেজের মালিকরা এসেছিল। বলছে, ও আসবে বলে প্রতিটি বিএড কলেজ থেকে ২ লাখ টাকা করে চাঁদা নেওয়া হয়েছে। পুরুলিয়ার অবজারভার ছিলেন নেপাল মাহাত। উনি বলছিলেন, অভিষেক একবার যাওয়া মানে ১০ হাজার ভোট কমা। 

অভিষেক আজ বলেন, আমাকে কিছু নাম জিজ্ঞাসা করেছে? বলেছে আপনি এদের চেনেন? বিশ্বাস করুন ৯০ শতাংশ লোকের বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুর ও মুর্শিদাবাদে। কার কথা জিজ্ঞাসা করেছে তা তদন্তের স্বার্থে জনসমক্ষে আনব না।  এরা যদি ওই দুই জেলার হয় তাহলে দলের তরফে কে দায়িত্ব ছিল তখন? এনিয়ে শুভেন্দু বলেন, শুভেন্দু দায়িত্বে ছিল বলে মুর্শিদাবাদ তোমার ছিল। শুভেন্দু দায়িত্বে নেই বলে সাগরদিঘিতে গো হারান হেরেছেন। বাকীটাও সাফ হবে। অপেক্ষা করুন। লাগল কেমন ৯ ঘণ্টা? ভাইপো, কেমন লাগল? আমার ভাইকে ১০ ঘণ্টা করে ৪ বার ডেকেছে। লোকের ক্ষতি করলে নিজের ক্ষতি হয়। দেখ কেমন লাগে।

শুভেন্দুর ওই মন্তব্য নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমি রোজ মিটিং মিছিল করি। খেয়াল করে দেখুন আমার বক্তব্য আমি কতবার ওঁর নাম নিই , আর উনি কতবার আমার নাম নেন। ও যদি ৩০ মিনিট বলে তাহলে ২৮ মিনিট ভাইপো ভাইপো করে। দেখ কেমন লাগে যদি বলতে চান তাহলে আমার নাম নিয়ে কথা বলো। তখন বুঝব দেখ কেমন লাগে! ভাব বাচ্যে কথা বলে তো লাভ নেই! আমি তো ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে বলছি তুমি ঘুষখোর। তোমাকে ক্যামেরায় টাকা নিতে দেখা গিয়েছে। ও তো বলতে পারছে না।

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version