কেবলমাত্র পশ্চিমবঙ্গই নয়, কলকাতা বিমানবন্দর থেকে হজের জন্য যাচ্ছেন পড়শি ছ’টি রাজ্যের যাত্রীরাও। এ বছর মোট কলকাতা থেকে সৌদি উড়ে যাবেন ১৭ হাজারেরও বেশি হজযাত্রী। অন্য বছর এই সংখ্যা থাকে কমবেশি সাড়ে নয় হাজার।
রাজ্য হজ কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, করোনা পরবর্তী সময় চলতি বছর বাংলা থেকে ১০ হাজার ৯৩৫ জন মানুষ হজ করতে যাচ্ছেন। এছাড়াও অসম, মণিপুর, ত্রিপুরা, ওডিশা, বিহার এবং ঝাড়খণ্ডের হজযাত্রীরা কলকাতা বিমানবন্দর হয়েই সৌদি যাবেন।
হজ যাত্রীদের পরিষেবা দিতে সমস্ত রকমের প্রস্তুতি সেরে ফেলেছে রাজ্য সরকার। রাজ্য হজ কমিটির তরফে মহম্মদ নকি জানিয়েছেন, হজ যাত্রীদের সুষ্ঠু পরিষেবা এবং সুরক্ষার সমস্ত বন্দোবস্ত রাখা হয়েছে। সিটি চেকিং জোন হিসেবে নিউটাউন হজ হাউসকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে যাত্রীরা এসে এখানেই উঠবেন। এখান থেকেই তাঁদের বিমানবন্দরে পৌঁছে দেওয়া হবে। এর জন্য একটি বিশেষ বাসেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। এসি বাসে চেপে হজ হাউস থেকে বিমানবন্দরে পৌঁছে দেওয়া হবে যাত্রীদের।
হজ হাউস চত্বরে ক্যাম্প করে কাজ করছে রাজ্য সরকারের দমকল, স্বাস্থ্য, PHE, PWD, হিডকো, NKDA, বিধাননগর পুরসভা সহ একাধিক সরকারি বিভাগ।
২১ মে থেকে আগামী ৬ জুন পর্যন্ত হজের জন্য রওনা দেবেন রাজ্যের ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা। পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি কলকাতা বিমানবন্দর থেকে হজের জন্য বিমান ধরেন অসম, মিজোরাজ, ত্রিপুরা সহ বেশ কয়েকটি পড়শি রাজ্যের মানুষও। হজযাত্রা সংক্রান্ত বিষয়ে পর্যাপ্ত বন্দোবস্ত রাখার জন্য মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর নেতৃত্বের বিভিন্ন দফতরের কর্তারা সমস্ত ব্যবস্থাপনা করেছেন। রাজ্যের পরিবহণ দফতর, কলকাতা পুরসভা ও বিধাননগর পুরনিগম, কলকাতা পুলিশ, বিধাননগর পুলিশ, এয়ারপোর্ট অথরিটি, কাস্টমস, NKDA সহ বিভিন্ন দফতরের প্রতিনিধিরা দায়িত্বে রয়েছেন। নোডাল অফিসারকে গোটা বিষয়টি নিয়ে সমন্বয় রাখার জন্য বলা হয়েছে নবান্নের তরফে। হজযাত্রীরা যাতে নির্দিষ্ট সময়ের আগে নির্বিঘ্নে বিমানবন্দরে পৌঁছে যেতে পারেন, তার জন্য যাবতীয় কোঅর্ডিনেশন করবেন নোডাল অফিসার।