উল্লেখ্য, গতকালই বাঁকুড়া জেলায় প্রবেশ করেছে তৃণমূলের নব জোয়ার যাত্রা। আর এই যাত্রার দ্বিতীয় দিনে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে CBI তলব করেছে। যার ফলে মাঝপথেই যাত্রা কর্মসূচিকে বন্ধ করে তিনি কলকাতা রওনা দিয়েছেন।
এরই মাঝে আজ বাঁকুড়ার সোনামুখীতেই যেখানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রোড শো অনুষ্ঠিত হয়েছে, সেই সোনামুখীর নিত্যানন্দপুর মিনি মার্কেটে একটি সাংগঠনিক বৈঠক ও দলীয় কর্মীদের সঙ্গে চা চক্রে যোগ দেন লকেট চট্টোপাধ্যায়।
সেখানেই তিনি বলেন, “এই বাঁকুড়া জেলাতে ঢোকার পরেই ঝড়ে তাঁর যাত্রার সমস্ত কিছু লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছে। অর্থাৎ বিধাতাও চান না যে এখানে তৃণমূল নব জোয়ার যাত্রা করুক। আর শুনলাম সোনামুখীতে ভাইপো আসবেন বলে প্রশাসনের তরফ থেকে দোকান বাজার হাট সব বন্ধ করা হয়েছে। মানে কাউকে ওরা কিছু দিতে তো পারবে না, আর এদিকে সব লুটেপুটে নিয়ে যাবে।”
তৃণমূলের এই নব জোয়ার যাত্রা প্রসঙ্গে লকেট আরও বলেন, “কাল CBI ওনাকে তলব করেছে, এবার দেখুন তিহারে যায় না অন্য কোথাও যায় সেটাই এখন দেখার বিষয়।” তিনি আরও বলেন, “বাঁকুড়া বিষ্ণুপুরের মানুষ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য অপয়া হয়ে গিয়েছেন। এখানকার মানুষ তাঁকে চান না। তাই নব জোয়ার যাত্রার প্রথম দিনে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও দ্বিতীয় দিনে CBI তলবের মতো ঘটনা ঘটেছে।”
লকেট বলেন, “একবার উনি বলছেন দোষী প্রমাণিত হলে ফাঁসি দিন। আবার পরক্ষনেই বলছেন কিছুই পাওয়া যাবে না, মানে টা কি! আসলে নিজেরাই ভুলে গিয়েছেন কি বলছেন।”
মুখ্যমন্ত্রী প্রসঙ্গে লকেট বলেন, “এই রাজ্য একজন মহিলা পরিচালিত রাজ্য হলেও মহিলারা এখানে সুরক্ষিত নয়। রোজ খুন ধর্ষণ হয়েই চলেছে।” তিনি বলেন, “রোজ ১ কোটি টাকা করে খরচ করে সৈন্য সামন্ত নিয়ে নব জোয়ার যাত্রা চলছে। মানুষের টাকা লুঠ হচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেস যেই পন্থায় অবলম্বন করুক আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাঁকুড়া বিষ্ণুপুরের মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবেন।”