বাঁকুড়ার অধিবেশনে কর্মীদের কাছে অভিষেক জানতে চান বাঁকুড়ার দুটি লোকসভা নির্বাচনে একটিতে প্রায় আশি হাজার এবং একটিতে দেড় লাখের বেশি ভোট কেন তৃণমূল হেরেছিল। সেই সময় এক কর্মী বামেদের ভোট রামে যাওয়ার যুক্তি খাঁড়া করলে সেই কথা খারিজ করে দেন অভিষেক। তিনি বলেন, “সিপিএম নিজেই ভোট পায় না, ওঁরা আবার বিজেপিকে কী ভোট ভাগ দেবে।” সিপিএম সমর্থকরাও কেন বিজেপিকে ভোট দিল, তার জন্যে ধর্মের রাজনীতি দায়ী বলে দাবি অভিষেকের।
এদিন কর্মসূচি অনুযায়ী প্রথমে ইন্দাস হাই স্কুল মাঠে বজ্রাঘাতে নিহত পরিবারের সঙ্গে দেখা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরেই কুম্ভস্থলী মোড় থেকে রোড শো করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর বিষ্ণুপুরে নিউ গোড়ার মাঠে রাতে অধিবেশন কর্মসূচি করেন তিনি। রোড শো সর্বাত্মক সফল বলে দাবি তৃণমূলের। মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত যোগদান হয়েছে অভিষেকের এই রোড শোতে বলে দাবি তৃণমূল নেতৃত্বের।
এদিন নিউ গোড়ার মাঠে কর্মীদের নিয়ে অধিবেশনে নির্দল প্রার্থীদের নিয়ে ফের হুঁশিয়ারি দেন অভিষেক। তাঁর কথায়, যে কারও অধিকার রয়েছে দলের মনোনীত প্রার্থী পছন্দ না হলে নির্দল প্রার্থী হিসাবে দাঁড়ানো বা গোঁজ প্রার্থী দেওয়া। কিন্তু দল সেই নির্দল প্রার্থীকে পরে কোনওভাবেই দলে ফিরিয়ে নেবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন অভিষেক।
দলীয় কর্মীদের অভিষেক এদিন বলেন, ” একটি অদৃশ্য চোখ সবসময় ঘুরে বেড়াচ্ছে। গত বিধানসভা নির্বাচনের পর কে কোথায় কী কাজ করেছে, সেই রিপোর্ট বুথ সভাপতি ধরে ধরে আমাদের কাছে আছে। আপনি কতো বড় নেতা বুথের ফলাফল দেখলেই আমরা বুঝে যাব।”
পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়েও এদিন দলীয় কর্মীদের মানুষকে বোঝানোর নির্দেশ দেন অভিষেক। রাজ্য যে কেন্দ্রের থেকে বিরাট অঙ্কের টাকা পায়, সেটা মানুষের মধ্যে গিয়ে বোঝানোর বার্তা দেন তিনি। বিজেপিকে নির্দেশ করে অভিষেক বলেন, ” প্রতিশোধ নিতে গিয়ে এঁরা মানুষকে বঞ্চিত করছেন। বাঁকুড়াতে বিজেপি আটটি আসনে জিতেছে। কিন্তু সেই এলাকার মানুষও বঞ্চিত হচ্ছে।”
তবে তৃণমূলের এই কর্মসূচিকে কটাক্ষ করে বিজেপি নেতৃত্ব। স্থানীয় এক বিজেপি নেতার কথায়, সিবিআই আবার ডাকলে ওঁকে কর্মসূচি বন্ধ করে আবার যেতে হবে। বাঁকুড়া জেলার মানুষ তৃণমূল নেতৃত্বকে চিনে নিয়েছে। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে তার প্রমাণ মিলবে। এত দুর্নীতি করে তৃণমূল কংগ্রেস আগামী নির্বাচনে কোনও প্রভাব ফেলতে পারবে না, নির্বাচনের ফলেই তা দেখা যাবে বলেই জানায় বিজেপি নেতৃত্ব।