এরই মধ্যে হাজিরা ও কাজের ক্ষেত্রে সময়ানুবর্তিতা নিশ্চিত করতে শনিবার জারি করা হয়েছে নতুন একটি সরকারি নির্দেশিকা। সেখানে আজ, সোমবার সরকারি কর্মীদের ‘পেন-ডাউন স্টাইক’ বা পেন-ডাউন ধর্মঘটের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও কেন্দ্রীয় হারে বকেয়া ডিএ-র দাবিতে আন্দোলনরত সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ, যৌথ মঞ্চ-সহ সরকারি কর্মীদের সংগঠনগুলি জানাচ্ছে, আজ তাদের এমন কোনও কর্মসূচি নেই।
সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষের বক্তব্য, ‘সরকার নিজে ডাকলে ডাকতে পারে, আন্দোলনকারীদের এই ধরনের কোনও কর্মসূচি নেই।’ মঞ্চ জানিয়েছে, ডিএ-র দাবিতে কর্মচারীরা আজ, সোমবার টিফিনের সময়ে নিজেদের দপ্তরে বিক্ষোভ দেখাবেন। শনিবারের নির্দেশিকায় অবশ্য বলা হয়েছে, দুপুর দেড়টা থেকে দু’টো, এই অবকাশ কর্মচারীদের কেবল টিফিনের জন্যই বরাদ্দ, সেই সময়ে তাঁরা অন্য কিছু করতে পারবেন না। ভাস্করের বক্তব্য, ‘সরকারের এ রকম স্বেচ্ছাচারিতা মানা হবে না।’ রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটির বিশ্বজিৎ গুপ্ত চৌধুরি, ওয়েস্ট বেঙ্গল গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ় ইউনিয়নের (নবপর্যায়) অর্জুন সেনগুপ্তরাও বলছেন, ‘এটা কর্মচারীদের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ।’
আজ, সোমবার সরকারি কর্মচারীদের একাংশ পেন-ডাউন স্ট্রাইক ডেকেছেন, সেটা ধরে নিয়েই রাজ্য সরকার শনিবারের নির্দেশিকায় জানিয়েছে ,এই ধরনের আন্দোলনে সরকারি কাজ স্তব্ধ হয়ে যেতে পারে, সাধারণ মানুষ সরকারি পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হতে পারেন। তাই, এখন কোনও সরকারি কর্মী ক্যাজুয়াল লিভ বা হাফ ডে নিতে পারবেন না।
কেবল কোনও সরকারি কর্মী বা তাঁর পরিবার অসুস্থতার জন্য হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন, পরিবারের কেউ মারা গিয়েছেন, অসুস্থতার কারণে আগে থেকে ছুটিতে রয়েছেন অথবা ১৯ মে বা তার আগে কেউ মাতৃত্বকালীন অথবা অন্য কোনও ছুটি নিয়ে থাকলে তা গ্রাহ্য হবে। কতদিন এই ক্যাজুয়াল লিভ নেওয়া যাবে না, তার উল্লেখ করা নেই সরকারি নির্দেশিকায়। কেউ অনুপস্থিত থাকলে বিভাগীয় প্রধান তাঁকে শো-কজ় করবেন। শুধু বেতন কাটাই নয়, চাকরি জীবনে একদিনের ছেদ পড়বে সেই কর্মচারীর। শাস্তিমূলক ব্যবস্থার গোটা প্রক্রিয়াটি হবে তিন সপ্তাহের মধ্যে।