জেলায় জেলায় থাকা ফুড সেফটি অফিসাররা মানছেন, ‘করোনা পরিস্থিতিতে খাদ্যে ভেজাল মেশানোর প্রবণতা বেড়েছে। মূলত করোনা পরিস্থিতি শুরুর বেশ কয়েকমাস এ ব্যাপারে জেলা স্বাস্থ্য দফতর বা পুলিসের নজরদারির অনেকটাই অভাব ছিল।’ আর তাতেই ছানা থেকে মিষ্টি, দুধ, হোটেল রেস্তরাঁর খাবারে ভেজাল মেশানো বেড়েছে বলেই অভিযোগ। নজরদারির অভাবে কোথাও গোটা দুধটাই তৈরি হচ্ছে কেমিক্যাল দিয়ে, কোথাও দুধের পরিমাণ বাড়াতে কেমিক্যাল থেকে সস্তার মিল্ক পাউডার ব্যবহার হচ্ছে বলেও অভিযোগ। মাঝে এ ব্যাপারে লাগাতার অভিযান চালায় জেলা স্বাস্থ্য দফতর। পরে এ ব্যাপারে কিছুটা ভাঁটা পড়ে।
জেলার উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (৩) এই বিষয়ে নোডাল অফিসার হয়ে থাকে। গোটা বিষয়টিই নজরদারি চালায় জেলা স্বাস্থ্য দফতর। কলকাতার ক্ষেত্রে কলকাতা পুরসভা এবং স্বাস্থ্য দফতরের খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধক শাখা এই কাজ তদারকি করে।
শুক্রবার নিজে হাতে দোকানের খাবারের গুণগত মান যাচাই করে একাধিক দোকানদারকে নোটিশ ধরান পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোণার খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিক দেবারতি জোদ্দার। নিয়ম না মানার জন্য দোকাদের কড়া ভাষায় ভর্ৎসনাও করেন মহিলা অফিসার। আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দেন। চন্দ্রকোণা শহরের একাধিক রেস্টুরেন্ট, হোটেল, চপ মুড়ির দোকান ,মিষ্টির দোকান, ঝাঁ চকচকে রেস্তঁরায় হানা দিয়ে চোখ কপালে ওঠে তাঁদের। একাধিক রেস্তঁরা থেকে বাসি খাবার ও ফ্রিজে রাখা পচা মাংস উদ্ধার করা হয়। নিজে দাঁড়িয়ে থেকে পচা ও বাসি খাবার ভ্যাটে ফেলার ব্যবস্থা করেন।
দেবারতির কাজে যোগ দিয়েছেন গত ৩ বছর। প্রথম পোস্টিং চন্দ্রকোণায়। এই নিয়ে এই সময় ডিজিটালের পক্ষ থেকে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘নমুনা সংগ্রহ করে তা পাঠানো হয়েছে। ঘিয়ের ক্ষেত্রে ভেজাল মিলেছে। সেক্ষেত্রে নিয়ম মেনে যা করার করা হচ্ছে। সেদিন আমি ডিউটিতে ছিলাম। যা নিয়ম তাই করেছি। ভয় পাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। আপাতত মানুষের মধ্যে আরও সচেতন বাড়ানোই লক্ষ।’ জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌম্য শংকর ষড়ঙ্গী বলেন, ‘ওঁর কাজে আমরা গর্বিত।’