থানার মধ্যে এক ব্যক্তিকে মারধরের অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। হাত পা ভাঙা অবস্থায় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সেই ব্যক্তি। ঘটনায় এক পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে আইজিকে অভিযোগ জানিয়েছেন ব্যক্তির পরিবার। তবে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।

Siliguri Weather : বিয়েবাড়ির সব আয়োজন সারা, কয়েক মিনিটের ঝড়ের তাণ্ডবে উড়ে গেল বিয়ের প্যাণ্ডেল!
জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির নাম মেহবুব আলম। শিলিগুড়ি মহকুমার ফাঁসিদেওয়ার রতনলাল পল্লীর বাসিন্দা তিনি। গত ১৩ মে মেহবুব আলম ও তাঁর স্ত্রীয়ের মধ্যে ঝামেলা হয়। এরপর স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগ ওঠে মেহবুবের বিরুদ্ধে। স্ত্রীর উপর ওই ব্যক্তি শারীরিক নির্যাতন চালায় বলে অভিযোগ করা হয়েছে। স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন তাঁর স্ত্রী।

Siliguri Municipal Corporation : জনসংযোগ বাড়ানোই লক্ষ্য, পঞ্চম মাসে শিলিগুড়ি পুরসভার ‘মানুষের কাছে চলো’ কর্মসূচি
ঘটনার পরই বিধাননগর ইনভেস্টিগেশন সেন্টারে যান মহিলা। সেখানে গিয়ে তিনি স্বামীর বিরুদ্ধে মারধরের মৌখিক অভিযোগ করেন। মেহবুবের পরিবারের অভিযোগ, এরপর পুলিশ বাড়িতে এসে মেহবুবকে থানায় নিয়ে যায়। পরে পরিবারের সদস্যরা থানায় যান। সেখানে গেলে পুলিশ তাঁদের জানায় সে অসুস্থ হয়ে গিয়েছে। হাত পায়ে চোট নিয়ে হাসপাতাল থেকে মেহবুবকে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।

North Bengal Medical College : শ্বাস নিলেই বাজছে বাঁশি! জটিল অস্ত্রোপচারে জীবন ফিরে পেল জলপাইগুড়ির খুদে
এরপর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে মেহবুবের হাত পা ভেঙে যাওয়ার কারণে চিকিৎসার জন্য তাঁকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। তাঁর হাতে অস্ত্রোপচার হয়েছে। এখনও হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে সে। সেখানে ডান পায়ে অস্ত্রোপচার হবে বলে জানায় পরিবার। মেহবুবের বাবা মমতাজ আলম বলেন, “বাড়িতে পুলিশ এসেছিল। এরপর ছেলেকে থানায় নিয়ে যায়। সেখানে এক পুলিশ কর্মী মারধর করে ছেলেকে। হাত পা ভেঙে দেয়।”

Siliguri News: ‘ইস্টবেঙ্গল রোডে আপনাকে স্বাগত’!

পরিবারের সদস্যরা জানান, পরে ছেলেকে বাড়িতে নিয়ে যেতে বলা হয়। চিকিৎসার জন্য ২০০০ টাকা দিয়েছিল তাঁদের বলেও দাবি করা হয়। যদিও অভিযুক্ত পুলিশ কর্মী জানান, ব্যক্তি থানায় এসে পড়ে গিয়েছিল। এরপর পুলিশ হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে ঘটনার পর আইজিকে অভিযোগ ও ব্যক্তির পরিবার সাংবাদিক বৈঠক করতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে পুলিশ মহলে।
দার্জিলিং জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মনোরঞ্জন ঘোষ বিষয়টি জানা নেই বলেই জানান। তবে পুলিশ আধিকারিকেরা ইতিমধ্যেই বিধাননগর ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট এর পুলিশ কর্মীদের থেকে বিষয়টি খোঁজ নিচ্ছেন। ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছে ওই পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের পরিবারের ছেলেকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে বলেই দাবি করছেন তাঁরা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version