মঙ্গলবার অর্থ মন্ত্রকের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, জামাইষষ্ঠীর দিন রাজ্যের সমস্ত সরকারি দফতরে হাফ ছুটি থাকবে। রাজ্যের স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় সহ সমস্ত সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই এই ছুটি লাগু হবে। ফলে বলা বাহুল্য শাশুড়ি মায়ের হাতের রান্না খেতে তাই দুপুর দুপুর অফিস থেকে বেরিয়ে শ্বশুরবাড়ি পৌঁছে যেতে পারবেন সরকারি চাকুরিরত জামাইরা।
Jamai Sasthi 2023
২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে জামাইষষ্ঠীর দিন রাজ্যে সরকারি দফতরে অর্ধদিবস ছুটির কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর ২০২১ সালে পূর্ণ ছুটিই ঘোষণা করে নবান্ন। কিন্তু, এ বছর ফের একবার হাফ ছুটির নোটিশ জারি করেছে অর্থ দফতর। বেলা ২টো পর্যন্ত অফিস করে তারপর অনায়াসেই জামাইষষ্ঠীর নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে পারবেন সরকারি কর্মচারী জামাইরা।
সরকারি কর্মীদের টিফিন ব্রেক নিয়ে নয়া নির্দেশিকা
এদিকে, সরকারি কর্মচারীদের টিফিন ব্রেক নিয়ে একটি নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য সরকার। এবার থেকে আর টিফিন ব্রেকে দফতরের বাইরে যেতে পারবেন না কর্মীরা। কর্মচারীরা যাতে কোনওরকম ঝুট ঝামেলায় না জড়িয়ে পড়েন, তা নিশ্চিত করতেই এই পদক্ষেপ বলে জানানো হয়েছে। এই নিয়মের লঙ্ঘন হলে সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মীকে ওই দিনের জন্য অনুপস্থিত হিসেবে চিহ্নিত ধরা হবে।
অর্থ দফতরের নির্দেশিকা অনুযায়ী, টিফিন ব্রেকের সময় বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে সরকারি কর্মীদের। এই নিয়মগুলির মধ্যে রয়েছে যথাসময় হাজিরা দেওয়া, কাজের সময় অতিরিক্ত ঝামেলায় না জড়ানো, অফিস প্রধানের অনুমতি ছাড়া অফিসের বাইরে না যাওয়া।
মূলত সরকারি কর্মীদের শৃঙ্খল পরায়ণ হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে নবান্নের তরফে। সরকারের দাবি, এই নিয়মের জেরে সরকারি দফতরে কাজের আর কোনও সমস্যা থাকবে না।
অন্যদিকে, বকেয়া DA-এর দাবিতে সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন (DA Protest West Bengal) এবং মঞ্চের তরফে একাধিকবার কর্মবিরতি ঘোষণা করা হয়েছে। পেন ডাউন কর্মসূচিরও ঘোষণা করা হয়েছে। পালিত হয়েছে ডিজিটাল স্ট্রাইকও।