দক্ষিণেশ্বর থানা এলাকার আড়িয়াদহ এলাকার শ্রী গোপাল মল্লিক রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই বিপুল পরিমাণ বাজি তৈরির মশলা উদ্ধার করা হয় জনৈক এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে। মঙ্গলবার রাতে চলে এই অভিযান। জানা যায়, শিবু দাসের বাজির গোডাউন থেকে এই বাজি তৈরির মশলা উদ্ধারের সময় দেখা যায় রাজ্যের শাসকদলের একাধিক পতাকা।
সেগুলিও উদ্ধার করা হয়। সূত্রের খবর, শিবু দাস রাজ্যের শাসকদলের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী। এই খবর সংগ্রহ করতে গেলে সংবাদমাধ্যমকেও বাধা দেওয়া হয়। স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, “শিবু দাস এই এলাকাতেই বাজির মশলার ব্যবসা করেন। আর আমরা এটাও জানি যে তিনি রাজ্যের শাসকদলের ঘনিষ্ঠ।
কিন্তু এটা বলতে পারব না যে তিনি সরাসরি দলের সদস্য কিনা। দিন কয়েক ধরে রাজ্যে পুলিশ যেভাবে বাজি উদ্ধার করছে, তাতে এলাকায় মৃদু গুঞ্জন উঠেছিল যে শিবু দাসের এখানেও হানা দেওয়া হবে কিনা। শেষ পর্যন্ত দেখলাম সেটাই সত্যি হল”।
ঠিক ৮ দিন আগে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ হয়েছিল। তার পর রবিবার বজবজের বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ হয়। এর পর থেকেই রাজ্যের জেলায় জেলায় শুরু হয় বেআইনি বাজি উদ্ধারের পুলিশি অভিযান।
মঙ্গলবার সকালেও মালদার ইংরেজবাজারে বাজি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল দক্ষিণেশ্বর ছাড়াও বাজি বানানোর কাঁচামাল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বিভিন্ন জেলা থেকে। এছাড়াও বাজি বানাতে ব্যবহৃত অতি দাহ্য বারুদও উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে এসব ঘটনার জেরে, পুলিশ সুপারদের বিশেষ নির্দেশ দিয়ে বলা হয়, তাঁরা যেন জেলার গোয়েন্দা বিভাগকে সক্রিয় করেন। এছাড়াও বলা হয়েছে, বাজি উদ্ধারের জন্য এই ধরনের অভিযান আরও বাড়িয়ে যেতে।