মার্কশিট ফের পর্ষদের কাছে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলে সাফ জানিয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, গত ২১ এপ্রিল কালিয়াগঞ্জের সাহেবঘাটায় উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী এক ছাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় তাকে ধর্ষণ করে খুন করার অভিযোগে ওঠে। ওই নাবালিকার ময়নাতদন্তের রিপোর্টে পরিস্কারভাবে বলা হয়, বিষক্রিয়ার ফলে কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে।
এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পরই পুলিশ ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ আরও বৃদ্ধি পায়। ২৫ এপ্রিলবিজেপির পক্ষ থেকে এই ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয় সাংসদের নেতৃত্বে পুলিশ সুপারের দফতরের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়। পাশাপাশি রাজবংশী ও আদিবাসী সংগঠনের পক্ষ থেকে এই একই ইস্যুতে কালিয়াগঞ্জ থানা অভিযানের ডাক দেওয়া হয়।
মৃত কিশোরীর মা জানিয়েছেন, “উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে নার্সিং ট্রেনিং নিয়ে চাকরি করার ইচ্ছে ছিল মেয়ের। সেইমতো সে প্রস্তুতিও নিচ্ছিল। তার মাঝেই তাঁকে খুন হতে হয়।” মেয়ে পরীক্ষায় পাশ করেছে স্কুল থেকে জানিয়েছে। তাঁকে যারা খুন করেছে, তাদের সকলকে পুলিশ এখনো গ্রেফতার করেনি।
এমনকি যে ২ জন গ্রেফতার হয়েছে, তাদের সাজা হয়নি। আমরা আদালতে সিবিআই তদন্তের আবেদন করেছিলাম। আদালত SIT গঠনের নির্দেশ দেয়। আমরা এই নির্দেশে খুশি হয়েছিলাম ন্যায্য বিচার পাওয়ার এই আশায়।
কিন্তু রাজ্য সরকার সেই নির্দেশের বিরোধিতা করে আদালতে গিয়েছে। মেয়েও আর নেই। রাজ্য সরকারের দেওয়া ওই মার্কশিট নিয়ে আমি কী করবো? মেয়ের হত্যার সুবিচার না পাওয়া পর্যন্ত ওই কাগজ আমরা নেবো না। ওটা সরকারের কাছেই ফেরত পাঠিয়ে দেব।”
মৃতার পরিবারের আরেক সদস্য বলেন, “মার্কশিট নিয়ে কী হবে? অভিযুক্তদের কোনও সাজাই হল না। যার জন্য মার্কশিট নেব সে ই তো চলে গিয়েছে। মূল অভিযুক্ত গ্রেফতার হয়েছে। কিন্তু বাকিরা এদিক ওদিক ঘুরে বেড়াচ্ছে।” পরিবারের দাবি, পুলিশ এখনও তাদের ধরেনি। আগে সাজা হোক তারপর মার্কশিট নেব। দোষীরা শাস্তি পেলেই আমরা শান্তি পাব বলে জানান পরিবারের সদস্যরা।