বিষয়টি নাবালিকা প্রথমে তার পরিবারকে জানায়নি বলে জানা গিয়েছে। পরবর্তীতে তাঁর শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাঁর মা বাড়িতে আসলে বিষয়টি খুলে বলে। পরবর্তীতে নাবালিকার মা বিষয়টি নিয়ে বনগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে এবং নাবালিকাকে ভর্তি করা হয় বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে।
নাবালিকার মায়ের অভিযোগ, মৃন্ময় নামে ওই ব্যক্তির বাবা বিজেপি নেতা। বিষয়টি নিয়ে আতঙ্কে আছে নাবালিকার পরিবার। অভিযুক্ত ব্যক্তি এবং তার বাবা বাড়ি থেকে পলাতক বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। অবিলম্বে পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করুক এমনটাই দাবি নাবালিকার মায়ের ।
নাবালিকার মা বলেন, “আমি কাজের সূত্রে কলকাতায় থাকি, আবার গ্রামেও থাকি। আমি মেয়েটাকে আমার মায়ের কাছে রেখে গিয়েছিলাম। ওই ছেলেটা আমার মেয়েটাকে ডেকে নিত। ওদের বাড়ির একটা বাচ্চা মেয়েকে দিয়ে ডেকে নিত।”
এরপর নাবালিকার মুখ চেপে নিয়ে যাওয়া হয়। কুকর্মের পর মেয়েটি বাড়ি ফিরে আসে। প্রথমে বিষয়টি বাড়িতে না বললেও পরে পুরো বিষয়টি বাড়িতে জানায় ওই নাবালিকা। এরপরেই পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই নাবালিকার মা। দোষীদের যে কোনও ভাবে গ্রেফতার তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক, এমনটাই দাবি জানিয়েছে ওই নাবালিকার পরিবার।
এ বিষয়ে বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়া জানান, যদি এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে তবে নিশ্চয় অপরাধীর শাস্তি হোক। তবে ওই যুবক বিজেপি করে কিনা সেটাও দেখবার বিষয়। কেউ ইচ্ছাকৃত বিজেপিকে কালিমালিত্ব করবার জন্যই এ কথা বলতে পারে।
এই বিষয়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতা রতন দাস বলেন, “বিষয়টি নিন্দনীয়, আমরা পুলিশ প্রশাসনকে বলব অবিলম্বে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হোক। সে বিজেপির প্রভাব খাটিয়ে এইসব করছে।” গোটা বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা এলাকায়। এরকম নক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। বিষয়টি জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য শুরু হয়েছে এলাকায়।