বনকর্তাদের দাবি, ওই হাতির শাবকটি দিকভ্রান্ত হয়ে বীরপাড়ার দলমোড় চা বাগানের বড় হাওদা পর্যন্ত গিয়ে দলছুট হয়ে পড়ে। সোমবার সেই মা-হারা শাবকটিকে উদ্ধার করে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের হলং সেন্ট্রাল পিলখানায় ঠাঁই দেওয়া হয়েছে। আপাতত ১৫ দিনের কোয়ারান্টাইনে রাখা হবে তাকে।
বয়স কমপক্ষে সাড়ে চার মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে। পুরুষ শাবকটিকে খাওয়ানো হচ্ছে গোলানো গুঁড়ো দুধ ও ওআরএস। এই বিষয়ে বন দফতরের এক কর্তা জানান, “চা বাগানবাসীদের তরফ থেকে আমাদের কাছে খবর আসে যে একটি হস্তিশাবক দিকভ্রান্ত হয়ে এদিক ওদিক ছুটে বেড়াচ্ছে।
সেই সময় বনকর্মীরা গিয়ে ওই হস্তিশাবককে উদ্ধার করেন। বুঝতে পারা যায় যে হস্তিশাবকটি দলছুট হয়ে গিয়েছিল। কয়েকদিন আগেই মাদারিহাটের মধ্য খয়েরবাড়িততে একটি পূর্ণ বয়স্ক মাদি হাতির তড়িদাহত হয়ে মৃত্যু হয়েছিল। অনুমান করা হচ্ছে এই হস্তিশাবকটি সেই হাতিটিরই। হস্তিশাবকটিকে উপযুক্ত যত্ন নেওয়া হচ্ছে”।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সপ্তাহ তিনেক আগেই নকশালবাড়ির ভারত নেপাল সীমান্তের কলাবাড়ি সংলগ্ন মেচী নদীর পাড়ে এক হস্তিশাবককে উদ্ধার করে বন দফতর। নদী সংলগ্ন এলাকায় ঘোরাঘুরি করতে দেখে স্থানীয়রা খবর দেন বন দফতরকে। পরে কার্শিয়াঙ ডিভিশনের বন দফতরের কর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে পৌঁছে হস্তিশাবককে উদ্ধার করেন।
বন দফতর সূত্রে খবর, হস্তিশাবক দলছুট হয়ে পড়ায় ঘোরাঘুরি করছিল খবর পেয়ে উদ্ধার করা হয়েছে। হস্তিশাবককে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়। কলাবাড়ি জঙ্গলে প্রায় ৩০টির বেশি হাতি রয়েছে এই মুহূর্তে। ওই হস্তিশাবকটি সেই দলেরই বলে অনুমান করা হচ্ছে। দলছুট হস্তিশাবকটিকে খুঁজতে গিয়ে হাতির দল যাতে জনবসতিতে হানা না দেয়, সেইদিকে লক্ষ্য রাখা হচ্ছে বলে খবর।