TMC Joins ISF : তৃণমূলের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা আরাবুল ইসলামের ISF-কে হুমকি দেওয়ার একদিনের মধ্যেই তাঁর পাড়াতেই ভাঙন। এবার ভাঙড়ের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা আরাবুল ইসলামের পাড়া থেকেই তৃণমূল ছেড়ে ISF-এ যোগ দিলেন প্রায় শতাধিক তৃণমূল কর্মী। সোমবার রাতে ISF নেতা রাইনুর হকের হাত ধরে ISF-এ যোগ দেন এই তৃণমূল কর্মীরা। এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেস দীর্ঘদিন ধরে করে আসলেও তাঁরা কোনওরকম সহযোগিতা পাননি। সেই অভিযোগ করে তৃণমূল ছাড়লেন পোলেরহাট ২ অঞ্চলের ৯৬ নং বুথের প্রায় শতাধিক তৃণমূল কর্মী।

Arabul Islam :‘তৃণমূলের নামে বাজে কথা বললে তাঁর হাত পা গুঁড়ো করে দিতে হবে!’ বেলাগাম আরাবুল
ISF নেতা রাইনুর হক এই বিষয়ে বলেন, “বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির কাজের প্রতি অনুপ্রাণিত হয়ে এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা আজ ISF-এ যোগ দিয়েছেন। তাঁদেরকে আমরা স্বাগত জানালাম”। তিনি আরও বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূল কংগ্রেস এই এলাকায় অত্যাচার চালাচ্ছে। এই অত্যাচারের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেন না তৃণমূল কর্মীরাও।

Arabul Islam Bhangar: ‘পুলিশ না থাকলে ISF কর্মীদের পিঠের চামড়া থাকত না’, ফের বেলাগাম আরাবুল
তাই তাঁরা বিকল্প পথ খুঁজছেন। আর বিকল্প একমাত্র ISF। এছাড়াও তৃণমূলের লাগাতার দুর্নীতিতে মানুষ রীতিমতো ক্ষেপে উঠেছেন। যার ফল পাওয়া যাবে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে। শুধু ভাঙড় নয়, গোটা জেলায় ভালো ফল করবে ISF। তৃণমূল শেষ হয়ে যাবে”। এদিন ISF-এ যোগ দিয়েই ৯৬ নম্বর বুথের বুথ সভাপতি হলেন আখতার মোল্লা।

Bayron Biswas Nawsad Siddiqui : ‘সবার আত্মবিশ্বাস সমান নয়…’, দলবদলু বাইরনকে কী বার্তা নওশাদের?
তিনি বলেন, “আমরা এতদিন তৃণমূল কংগ্রেস করতাম। এবার থেকে ISF করব। আজ যোগ দিলাম। যোগ দিয়েই বলছি এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ISF-কে জেতাতে সবটুকু দিয়ে দেব। আমরা এত বছর ধরে তৃণমূল করেও নেতাদের থেকে কোনোরকম সহযোগিতা পাইনি। কিছু বলতে গেলে, বা দুর্নীতির বিরুদ্ধে মুখ খুলতে গেলে উলটে শাসানি শুনতে হয়েছে।

Nawsad Siddique: ‘পঞ্চায়েত ভোটে একটা বড় ফ্যাক্টর হতে চলেছে কুড়মি আন্দোলন’, মন্তব্য নওশাদের
অপমানিত হতে হয়েছে নেতাদের কাছে। অনেকদিন এসব সহ্য করে শেষ পর্যন্ত ISF-এ যোগদান করলাম”। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, একদিন আগেই আরাবুল ইসলাম বলেছিলেন, ‘পুলিশ যদি না থাকত নওশাদ সিদ্দিকি ভাঙড়ে ঢুকতে পারত না। নওশাদ সিদ্দিকির কর্মীদের পিঠের চামড়া থাকত না’।

Bayron Biswas : বায়রনের ছবিতে আগুন কংগ্রেস নেতার
আর এই কথা বলার একদিনের মধ্যেই দল ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন প্রায় শতাধিক কর্মী। তাও আবার আরাবুলের নিজের পাড়াতেই। মুখে কিছু না বলে এই কাজ করে আরাবুলকে বেকায়দায় ফেলে দিলেন নওশাদ, এমনতাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এবার জেলা নেতৃত্ব আরাবুলের উদ্দেশে কী উপদেশ দেয়, সেই অপেক্ষাতেই রয়েছেন সবাই।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version