Purba Medinipur : বাড়িতে ছেলে পরিবার থাকলেও ভরসা রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকারকে ভগবান মনে করেন বছর ৭০-এর বিনোদবিহারী মাইতি। রাজ্য সরকার যে অনুদান দিয়ে থাকেন তাতেই তাঁর বৃদ্ধ জীবন কাটছে। তাই রাজ্যের শাসকদল অর্থাৎ তৃণমূলের অন্যতম নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে খুশিতে ফেটে পড়লেন বিনোদবিহারীবাবু। দলকে শক্তিশালী করতে এবং পঞ্চায়েত ভোটে স্বচ্ছ প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য রাজ্যের জেলায় জেলায় নব জোয়ার কর্মসূচি নিয়ে ঘুরছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার পশ্চিম মেদিনীপুর অতিক্রম করে বিকেলে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুর প্রবেশ করে এই যাত্রা।

Abhishek Banerjee : ‘বুক চিতিয়ে লড়ুন, পঞ্চায়েত ভোটে এখানে থাকব…’, শুভেন্দুর গড়ে হুঙ্কার অভিষেকের
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখার জন্য প্রায় চার ঘণ্টা আগে পটাশপুরের বাঙ্গুচক মোড়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন ৭০ বছরের এই বৃদ্ধ। প্রখর রৌদ্রে খোলা রাস্তার ধারে দাঁড়ানোর সুযোগ ছিল না। অথচ বিনোদবিহারী মাইতি নামে ওই বৃদ্ধ রোদ উপেক্ষা করে ঠায় দাঁড়িয়ে। হাতে গামছা। সেটা নিয়ে ঘন ঘন কপাল, মুখ মুছে প্রিয় নেতার আসার অপেক্ষায় ছিলেন।

Abhishek Banerjee : নবজোয়ার শেষ হলেই দিল্লির বুকে বৃহত্তর আন্দোলন, পুরুলিয়া থেকে হুঙ্কার অভিষেকের
বিকাল ৫টার পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বাঙ্গুচক মোড়ে আসেন। মুহূর্তে বৃদ্ধের সব ক্লান্তি উধাও। চোখে মুখে তারুন্যের উদ্দীপনা। স্লোগানে সুর মিলিয়ে দলের জন্য নিজেকে উজাড় করে দেওয়ার অঙ্গীকারও করলেন। পটাশপুর-১ ব্লকের মথুরা গ্রাম পঞ্চায়েতের বালগোবিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা বিনোদবিহারী মাইতি। তিন বছর ধরে বার্ধক্য ভাতা পান।

Abhishek Banerjee : অধিকারী বাড়ির ৫০০ মিটারের মধ্যেই রাত্রি যাপন! আজ শুভেন্দু গড়ে অভিষেকের নব জোয়ার
প্রতি মাসে নিয়মিত এক হাজার টাকা অ্যাকাউন্টে ঢোকে। এছাড়াও কৃষকবন্ধু এবং পিএম কিষাণ প্রকল্পে বছরে আরও ১২ হাজার টাকা। এভাবে প্রতি বছর তিনি ২৪ হাজার টাকা সরকারি সহায়তা পান। মঙ্গলবার পটাশপুরের বাঙ্গুচক মোড়ে বিনোদবিহারীবাবু বলেন, “বছরে এই ২৪ হাজার টাকা না পেলে আমি হয়ত আজ পর্যন্ত বেঁচে থাকতাম না।

Abhishek Banerjee on New Parliament Building : নতুন পার্লামেন্ট নির্মাণের টাকা বাংলাকে দিলে ১০০ দিনের কাজের উপকার হত: অভিষেক
কারণ, হাইপ্রেশারের জন্য প্রতি মাসে ৮০০ টাকার ওষুধ লাগে। দুই ছেলের মধ্যে দু’জনেই আলাদা থাকে। আমি এবং আমার স্ত্রী চঞ্চলা মাইতি দু’জনে থাকি। আমাদের রুজি রোজগার বলে কিছুই নেই। সরকারি এই সরকারি সাহায্য না পেলে আমি বাঁচতাম না। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমার পুত্রসম। তাঁকে আশীর্বাদ করার জন্য আমি বাঙ্গুচক মোড়ে এসেছি”।

Abhishek Banerjee : পশ্চিম মেদিনীপুরে অভিষেকের নব জোয়ার, শালবনী যোগ দেবেন মুখ্যমন্ত্রী
মঙ্গলবার বালগোবিন্দপুর গ্রামের রাজু দাসের বাইকে চড়ে ৭০ বছরের বিনোদবিহারী মাইতি পটাশপুরের বাঙ্গুচকের সভায় এসেছিলেন। বিনোদবাবু আগে সমাজবাদী পার্টি করতেন। প্রয়াত সমাজবাদী পার্টির নেতা জন্মেঞ্জয় ওঝাকে দেখেই ওই পার্টির সমর্থক ছিলেন তিনি। তারপর ১৯৯৮ সাল থেকে তৃণমূল কংগ্রেস করেন।

Abhishek Banerjee: নবজোয়ারে কর্মসূচিতে অভিষেককে দেখে ‘চোর চোর’ স্লোগান, উঠল জয় শ্রী রাম ধ্বনিও
তিনি বলেন, “গরিব, খেটে খাওয়া মানুষের স্বার্থে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের কোনও বিকল্প নেই। আমার মতো হাজার হাজার মানুষ বার্ধক্য ভাতার উপর নির্ভর করে নিজেদের ওষুধপত্র, খাবার, জামাকামড় জোগাড় করেন।

এরকম মানবিক সরকারের প্রতি আজীবন সমর্থন থাকবে”। রাজ্যের সাধারণ মানুষের কথা ভেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত ৭৪ টির মতো প্রকল্প চালু করেছে। সেই প্রকল্পের পরিষেবা পেয়ে অনেকেরই সুখে শান্তিতে দিন কাটছে। যেমনটা বিনোদবিহারী মাইতি।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *