বুধবার বিকেলে চণ্ডীপুর ফুটবল ময়দানে উপস্থিত হবেন অভিষেক। তৃণমূলের নব জোয়ার কর্মসূচির অধিবেশন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ ও রাত্রিযাপন করার কথা রয়েছে তাঁর। আগের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে অভিষেকের সভা নিয়ে বাড়তি নিরাপত্তা বন্দোবস্ত করা হয়েছে। চণ্ডীপুরের সভাস্থল নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে।
চণ্ডীপুরের সেই ‘বিতর্কিত’ সেই মাঠে অভিষেকের সভা নিয়ে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। জেলা বিজেপির সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘এখানে তৃণমূলের অন্দরে প্রবল গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চলছে। এই মাঠে পূর্বের স্মৃতি রয়েছে। নিজের দলের কেউ যাতে আবার দুর্ঘটনা না ঘটায় তার জন্য নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে। সাধারণ মানুষের টাকা ধ্বংস করে এই নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছে।’
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চড় মারার পর সেখানে উপস্থিত তৃণমূলকর্মীরা দেবাশিসকে ব্যাপক মারধর করেন। হাসপাতেল ভর্তির পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের আগে ফের প্রকাশ্যে আসেন দেবাশিস। পূর্ব মেদিনীপুরের বিজেপি নেতা কনিষ্ক পণ্ডার সঙ্গে বসে অভিষেকের উদ্দেশে কটাক্ষ ছুড়তে দেখা যায় দেবাশিসকে।
কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলে গোটা রাজ্যের মতো পূর্ব মেদিনীপুরেও তৃণমূলের জয়জয়কার হয়। বিধানসভা নির্বাচনের ফল বেরতেই দেবাশিসের রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় বিজেপির তরফে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তাঁকে খুন করার অভিযোগ তোলা হয়। যদিও গোটা ঘটনার কথা অস্বীকার করে তৃণমূল।
পরিবারর সূত্রে জানা গিয়েছিল, দুই বন্ধুর সঙ্গে ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কের নেতাজিনগরে চা খেতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে হঠাৎ করে তিনি নিখোঁজ হয়ে যান। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা হাসপাতাল থেকে পরের দিন সকালে তাঁর নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়। এখনও অবধি এই ঘটনার কোনও কিনারা হয়নি বলেই পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে।