একদিকে পঞ্চায়েত ভোটে ক্ষমতা দখল, অন্যদিকে লোকসভায় দুটি আসন কাঁথি ও তমলুক লোকসভা দখল করা, দুটিই লক্ষ্য তৃণমূলের। যদিও দুটি লোকসভা খাতায় কলমে তৃণমূলের দখলে কিন্তু সাংসদরা তৃণমূল থেকে এখন অনেকটাই দূরে। কারণ, কাঁথির সাংসদ শুভেন্দুর বাবা শিশির অধিকারী এবং তমলুক লোকসভার সাংসদ তাঁর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী।
অধিকারীদের হাত থেকে দুটি লোকসভা দখল করতে মরিয়া তৃণমূল। সেই কারণেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলাকে পাখির চোখ করেছে তৃণমূল। আজ পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় তৃণমূলের কাঁথি সাংগঠনিক জেলা ও কাঁথির বিভিন্ন প্রান্তে একাধিক কর্মসূচি রয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
দুপুর আড়াইটে নাগাদ কাঁথি থেকে তিনি যাবেন দেশপ্রাণ পঞ্চায়েত সমিতি অফিসে। সেখানে বঙ্কিমচন্দ্রের মুর্তিতে মাল্যদান করে নদী পেরিয়ে মসনদি আলা ঘাটে যাবেন। মৎস্যজীবীদের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে সেখানে। ফিরে এসে কাঁথি হয়ে র্যালি পৌঁছাবে বাজকুলে। সেখানেই সাংগঠনিক বৈঠক হতে পারে।
সেখানেই রাত্রি যাপন করে পরের দিন অভিষেক রওনা দেবেন তমলুক সাংগঠনিক জেলার উদ্দেশ্যে। এই বিষয়ে কাঁথির স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা জানিয়েছেন, “আজ এই গোটা সাংগঠনিক জেলাতে তৃণমূল কংগ্রেস নিজের ক্ষমতা দেখিয়ে দেবে। আমরা দেখিয়ে দেব যে জেলার রাজনীতিতে অধিকারী পরিবার অপরিহার্য নয়।
আমাদের মাঝে যখন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো নেতা রয়েছেন, তখন আর কারোর প্রয়োজন পড়েনা। সারা রাজ্য জুড়ে নব জোয়ার কর্মসূচি এক আলাদাই জোয়ার এনেছে। এই জোয়ারে বিরোধীরা সব ভেসে যাবেন। আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে আগেরবারের তুলনায় অনেক বেশি আসন পাবে তৃণমূল”।
অভিষেকের কথায়, দলের ঠিক করে দেওয়া প্রার্থী পছন্দ না হলে কিছু লোক নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়ে তৃণমূল প্রার্থীর ভোট কাটার চেষ্টা করেন। কেউ যদি নির্দল প্রার্থী হিসেবে ভোটে জিতে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার স্বপ্ন দেখেন তা সত্যি হবে না। কাঁথিতে দাঁড়িয়েও দলের গোষ্ঠীকোন্দলের বিরুদ্ধে তিনি এরকম কোনও নিদান দেন কিনা, সেই অপেক্ষাতেই রয়েছেন সকলে।